বরিশাল সদর উপজেলার সড়কগুলোর বেহাল দশায় ধুকে মারা যাচ্ছে ।



মোঃ ফেরদাউস:বরিশাল সদর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের ৯নং টুঙ্গিবাড়িয়া পশ্চিম মৌজা বর্ডারে অবস্থিত সাহেবের হাট থেকে কানইপুরাসড়কের বেহাল দশায় পথযাত্রীরা ধুকে ধুকে মূত্যুর কোলে যাচ্ছে । সড়কটি প্রায় ৮ কিলোমিটার জুরে খানাখদ্দে ভরে গেছে ।
সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, প্রতিদিন লক্ষাধীক মানুষের চলাচলে একমাত্র সড়ক সাহেবের থেকে কানাইপুরার ৮
কিলোমিটার । চলাচলে একদম অনপযোগী হলেও রাজনৈতিক কিংবা সরকারী কর্মকর্তা বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোনো
পদক্ষেপ দেখা যায়নী । টমটম, অটো ভ্যান, মটরসাইক্লেল যোগাযোগে চলতে হয় ৮ কিলোমিটার সড়ক । উক্ত যানবাহনে চলতে গেলে,পথযাত্রীদের শাররিক মিটার বেড়ে গিয়ে অসুস্ত হওয়া ছারা কোনো পথ খুজে পায়না । তাছারাও গর্ভপতি নারীদের উক্ত সড়কে চলাচলে
একদম ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে । যদিও বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের প্রায় সময় উক্ত সড়কে যাতায়াত হয়েছে এবং হচ্ছে । কিন্তু
তাদের চোখেও রাস্তাটির প্রতি বালুকনা পরিমান ভূমিকা দেখা যায়নী । উক্ত সড়কে প্রায় স্থানেই বড় বড় গর্ত হয়ে রয়েছে ।
কয়েকদিন আগে উক্ত গর্তে টমটম মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কচুরী দিয়ে কোনো প্রকার যাতায়াত করতে সক্ষম হলেও বর্তমানে
আগত বর্ষা মৌসুমে হুমকির মূখে রয়েছে সড়কটি । গত বছর স্বাভাবিক বৃষ্টির পানিতে হাটু সম পানির বিকল্প ছিলনা । তবে
গত বছরের তুলনায় এবছর আরো হুমকি বৃর্দ্ধি পেয়েছে । সড়টি প্রয়োজনে আসছে, সাহেবের হাট, নৌ”বন্দর থানা, সাহেবের
হাট শহিদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজ, সাহেবের হাট ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা, সহ প্রায় অর্ধশতাধীক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
শিক্ষার্থীরা উক্ত সড়কে চলাচলে একমাত্র উপায় । ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার পত্রিকার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও নিরভ
ভূমিকায় রয়েছে । সড়কটিতে খানাখদ্দ থেকে বাচতে সম্ভল গুটিয়ে নিয়েছে শুধু টমটম সমিতির মাধ্যমে কখনও কচুরীপনা, কখনও
ইটা ভাঙ্গা, কখনও কাদা মাটি । ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারদের তিল পরিমান ভূমিকাও সড়কটির প্রতি দেখা যায়নী । স্থানীয়দের
সাথে আলাপ আলোচনায় জানা গেছে, যেকোনো সময় সড়কটি পূর্ন নির্মাণের দাবি নিয়ে মানব বন্ধন করতে পারেন ।
তাছরাও ৮ নং চাঁদপুরা ও ৯ নং টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের একটু নারাচারা হলে সড়কটি সংয়স্কার হতে পারে
বলে ধারণা করেছেন এলাকাবাসী ।ঐ এলাকায় ঘোড়াঘুরি করে দেখা যায়, দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেবদের নিজ বাড়ির
সড়কগুলো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন । দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কেউ সাহেবের হাট টু কানাইপুরা পর্যান্ত সড়কটির
ব্যাপারে কথা বলতেও শোনা যায় না । তবে ঐ দুই ইউনিয়নের ভিতরে এমন রাস্তাও পিচ ঢালাই করা হয়েছে যে সারা দিনে ৫/৭ জনপথচারীর দেখা মিলে না । অথচ সাহেবের হাটের লপ্তে থেকে আগত প্রধান সড়ক হলো সাহেবের হাট টু কানাইপুরা সড়ক ।
সড়কটির মেরামত করতে যথাযত কর্তৃপক্ষর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার ভূক্তভোগী বাসিন্দারা ।