নাটকে আটক বিসিসি’র আজীজ শাহিন! সি ই ও র সামনেই তাকে ঠাটিয়ে থাপ্পড় ডাঃঅমিতাভ সরকারের
এম.এস.আই লিমনঃবিসিসি’র আজিজ শাহীন কে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সামনেই ঠাটিয়ে থাপ্পড় মেরেছে ডাক্তার অমিতাভ সরকার। অথচ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃখায়রুল বাশারের জন্যই থাপ্পড় খেয়ে লাঞ্চিত হওয়া কর্পোরেশনের কর্মচারীকে লাঞ্চিত করার জন্য কোন প্রতিবাদ না করে নিরব ভুমিকা পালন করায় বিষয়টি বোধগম্য হয়নি উপস্থিত সকলের কাছে। জানাগেছে বিসিসি’র ট্রেড লাইসেন্স শাখার সুপারিন্টেন্ডেন্ট আজিজ শাহীনকে ওএসডি করে রাখা হয়। পরবর্তীতে তিনি স্বপদে বহাল হতে নানান লবিং তদ্বির করে থাকার ধারাবাহিকতায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সেবক বনে অধিকাংশ সময়ই তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে থাকে। গতকাল শারীরিক ভাবে অসুস্থতার কারনে রাত ১০ টার দিকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃখায়রুল বাশার কে ডাক্তার অমিতাভ সরকারের প্রাইভেট চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার সাহেব বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে স্যার বলে না ডাকায় উপস্থিত আজীজ শাহিন ডাক্তারের উপর চড়াও হয়ে স্যার বলে ডাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। উচ্চবাচ্য করার এক পর্যায়ে প্রকাশ্যেই ডাক্তার অমিতাভ সরকার আজীজ শাহিনের বাম গালে ঠাটিয়ে থাপ্পড় বসিয়ে দেয়।
এ ঘটনার পর পরই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কোন ধরনের প্রতিবাদ কিংবা কোন কথা না বলেই চেম্বার থেকে বেরিয়ে যায় বলেও উপস্থিত চেম্বারের কম্পাউন্ডার সূত্রের ঘটনার এহেন বিবরণের বিষয় জানা যায়। এর আগে সম্প্রতি বিসিসি’র কর আদায় শাখার সহকারী স্থায়ী কর্মচারী নুর এ আলমকে চাকুরির বিধান অমান্য করে সচিব মোঃইসরাইল হোসেন ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত প্রকাশ্যে কান ধরিয়ে লাঞ্চিত করার ঘটনা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হলেও আইন কানুনের ধারা মোতাবেক কোন সুষ্ঠু ন্যায় বিচার না হয়ে ঘটনা ধামা চাপা পরে থাকে। প্রকাশ্যে লাঞ্চিত হবার এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পুনরায় লাঞ্চিত কর্মচারীর এ দ্বিতীয় ঘটনায়ও কোন বিচার না হলে কিংবা বিসিসি কতৃপক্ষ কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলে উপরস্থ কর্মকর্তা এবং আইনের প্রতি সামান্যতম শ্রদ্ধা সম্মান হ্রাস পাবে বলেও আলোচনায় উঠে এসেছে অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের থেকে।অপরদিকে নির্ভরযোগ্য একটির তথ্য মতে জানা গেছে, আজীজ শাহীন বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির সাথে যোগসাজশে ঔষধ বিক্রির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে।সে সুবাদে বিভিন্ন ডাক্তারদের সাথে দহরমমহরম সম্পর্কের সুবাদে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ডাক্তার অমিতাভ সরকারের সাথে গোপন সক্ষতায় একটি নাটকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে।ওএসডি হবার পরে বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা’র কে নিয়ে কেনই বা তিনি ব্যক্তিগত অতি উতসাহে তাকে রাত ১১ টায় ডাক্তারের চেম্বারে নিয়েছে তা রয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ! এছাড়াও খোজ নিয়ে জানা গেছে, বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনেক আগে থেকেই ডাঃঅমিতাভ সরকারের চিকিৎসা সেবা নিয়ে আসছেন।
সে ক্ষেত্রে নতুন করে স্যার বলে ডাকার নির্দেশ দেয়াটা তাও আবার তৃতীয় শ্রেনীর ১৪ গ্রেটের পাম্প অপারেটর থেকে ট্রেড সুপারের দায়িত্ব থেকে ওএসডি থাকা কর্মচারীর মুখে উচ্চ বাচ্চের বর্জ কন্ঠে বলাটা মেনে না নিতে পেরেই বেয়াদপের আখ্যায় ঠাটিয়ে বাম গালে কষে থাপ্পড় বসানোয় বিলম্ব করেনি ডাক্তার অমিতাভ সরকার। অনেকটাই বেমানান। নাট্যকার সাংস্কৃতিক মনা হিসেবে আজীজ শাহীনের নাম ব্যপক ভাবেই পরিচিতি রয়েছে বরিশাল তথা রাজধানীর বিভিন্ন নাট্যমঞ্চে। ফলে নিজের নাটকীয় প্রতিভার বিকশিত করে ওএসডি থেকে পুণর্বহাল হবার এ নাটকীয় ঘটনাটি যে নাটকের একটি কৌশলী অংশ তা না বলারো অপেক্ষা রাখে না বলেও তার ঘনিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে৷ ডাক্তারের চেম্বারের কম্পাউন্ডার বিসিসি’র ট্রেড লাইসেন্স শাখার সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদ থেকে ওএসডি হওয়ার এবিষয়ে বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃখায়রুল বাশার জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে তারই সামনে এমন ঘটনাটি সত্যই খুব লজ্জাজনক।সুনামধন্য ডাক্তার তার সম্মূখ্যেই এ ধরনের আচরনে তিনি খুবই লজ্জিত হয়েছেন। ডাক্তার কতৃক থাপ্পড় খাওয়া ওস এসডি থাকা আজীজ শাহীন এ বিষয়ে কোন মতামত দিতে চায় নি। তিনি অনুরোধ করেন এবিষয়ে কিছু না করার জন্য।