আন্দোলন অব্যাহত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের



আলোকিত বার্তা:বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালুর ঘোষণা দেওয়ার পরেও তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নীচতলায় প্রধান ফটক আটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম বলেন,উপাচার্যের পদত্যাগ বা ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি লিখিত আকারে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে। কারণ মৌখিক আশ্বাসে আস্থার বিষয়টি আগেই হারিয়ে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।তিনি বলেন,১২ দিন ধরে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেই এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
এদিকে শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হাসিনুর রহমান স্বাক্ষরিত লিখিত এক নোটিশে রোববার থেকে ক্লাস ও পরীক্ষাসহ যাবতীয় কার্যক্রম চালুর ঘোষণা দেয়া হয়। ঘোষণা অনুযায়ী সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা একাডেমিক ভবনের সামনে এসে অবস্থান নিলেও প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় তারা ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। পাশাপাশি সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল তাদের কার্যক্রম শুরু করলেও বাসগুলোতে আশানুরূপ শিক্ষার্থীর দেখা মেলেনি।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান হেনা রানী বিশ্বাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় চালুর ঘোষণা অনুযায়ী সকালেই শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসেছেন। ক্লাসও শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে ভেতরে যেতে পারিনি।
তিনি বলেন,তাদের বোঝানো হয়েছে। কিন্তু লিখিত না পেয়ে আমাদের ভেতরে যেতে দেবে না শিক্ষার্থীরা। তারা কথাও শুনছে না, আমাদেরও কিছু করার নেই।আমরা শিক্ষক, আমাদেরও নীতি-নৈতিকতা রয়েছে।এভাবে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে,তেমনি আমরাও আমাদের কাজগুলো করতে পারছি না। এমনকি ব্যক্তিগত কাজও করতে পারছি নাতবে ১৩ দিন ধরে চলা আন্দোলনের কারণে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় যে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, তা পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হাসিনুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের বিভিন্ন গেটের তালায় একধরনের গাম দিয়ে দিয়েছে। তাই তা খোলা যাচ্ছে না। পাশাপাশি তারা গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে রেখেছে। তাই সিদ্ধান্ত থাকলেও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।ভিসির ছুটিতে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন,এ বিষয়টি আমার ক্ষমতার বাইরে। এ ব্যাপারে গতকালের মিটিংয়ে যে আলোচনা হয়েছে, সে হিসেবে মন্ত্রীসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বরিশালের সুশীল সমাজের যারা ছিলেন তারাই ব্যাপারটি দেখবেন।