ঈদের সাতদিন আগে শেষ করার নির্দেশ মহাসড়ক মেরামতের কাজ
আলোকিত বার্তা:আসন্ন ঈদুল ফিতরে মহাসড়কে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ঈদের সাতদিন আগে মহাসড়ক মেরামতের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।এজন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে ৩২ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব প্রকৌশলীকে মহাসড়ক মেরামতের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়।মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সহকারী সচিব লিয়াকত আলী স্বাক্ষরিত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সব প্রকৌশলীর কাছে পৌঁছে দেয়া হয় ৯ মে। নির্দেশনায় বলা হয়, ঈদে নির্বিঘ্ন যাতায়াত ও যানজটমুক্ত করতে সাতদিন আগে মহাসড়ক মেরামতের কাজ সম্পন্ন করতে প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সব সড়ক জোন ও নির্বাহী প্রকৌশলীকে (সব সড়ক) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়।
এছাড়াও ঢাকার তিনটি প্রধান বাস টার্মিনালে যাতায়াত সচল রাখতে বিআরটিএ, মালিক ও শ্রমিকদের সমন্বয়ে ভিজিলেন্স টিম গঠন করার কথাও বলা হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে লিয়াকত আলী বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে ৩২ দফা নির্দেশনা দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।এর আগে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রায় ভোগান্তি কমাতে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানায় সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম বলেছেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর সড়ক-মহাসড়ক অপেক্ষাকৃত ভাল। তাই এবার ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াত অধিকতর স্বস্তিদায়ক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।তিনি বলেন, আমি সড়ক মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছি। এজন্য সময়ও বেধে দেয়া হয়েছে। আমার জানামতে দেশের বেশিরভাগ সড়কের অবস্থা ভাল। ঈদের আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দ্বিতীয় মেঘনা সেতু যান চলাচলেন জন্য খুলে দেয়া হবে। পাশাপাশি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ফোর লেন প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক। আমরা চেষ্টা করবো এই মহাসড়কে যেন দুর্ভোগ কম নয়। এজন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, সড়ক মহাসড়ক নিয়ে কোনো অভিযোগ আসলে তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কর্তব্যে গাফিলতি হিসেবে গণ্য হবে। বর্ষার অযুহাত দেখিয়ে সড়ক মেরামত ঠিকঠাক হবে না তা আমরা মেনে নেব না। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।সচিব বলেন, আশা করি ঈদযাত্রা সস্তিদায়ক হবে। সড়কে ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ বাড়ি ফিরতে পারবেন।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদের আগে তিনদিন ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকলেও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, গার্মেন্টস সামগ্রী, পঁচনশীল দ্রব্য, ঔষধ ও জ্বালানী বহনকারী যানবাহনসূহ এর আওতামুক্ত থাকবে।
প্রতিবছরের মতো এবারো ঈদ স্পেশাল সার্ভিস পরিচালনা করবে বিআরটিসি। এবারে বিআরটিসির বহরে আরো যুক্ত হবে নতুন ক্রয়কৃত দেড় শতাধিক বাস।এছাড়া কোথাও যানজট কিংবা পরিবহনের সংকট দেখা দিলে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিআরটিসির অতিরিক্ত বাস প্রস্তুত রাখা হবে বলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব জানান।তিনি বলেন, ঈদের সময় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে টোলপ্লাজাসমূহের সকল বুথ চালু রাখা হবে। কঠোরভাবে ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা এবং সকল শ্রেণির অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।