৩৭ রাজনৈতিক দল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের,ব্যয়ের হিসাব দিতে ১ মাস সময় পেল



আলোকিত বার্তা:একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়ার জন্য বিএনপিসহ নিবন্ধিত ৩৭টি রাজনৈতিক দলকে এক মাস সময় দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।নির্ধারিত সময়ে এসব দল হিসাব না দেয়ায় কয়েকটি দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় দিল কমিশন। বর্ধিত এ সময়ে বিবরণী জমা দিতে রোববার দলগুলোর সাধারণ সম্পাদক/মহাসচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এরপরও এসব দল যদি হিসাব জমা না দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে।
ইসির এক কর্মকর্তা বলেন, নির্ধারিত সময়ে হিসাব দিতে ব্যর্থ দলগুলোকে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে বিবরণী জমা দেয়ার তাগাদা দিয়ে চিঠি দেয়া হল।এরপরও ব্যর্থ হলে জরিমানাসহ ১৫ দিনের মধ্যে হিসাব জমা দেয়ার সুযোগ পাবে। এরপরও হিসাব না দিলে নিবন্ধন বাতিলের সুযোগ রয়েছে।একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ফলের গেজেট প্রকাশের পর পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়ার নিয়ম রয়েছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও)।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয় ১ জানুয়ারি। সে অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর ২ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব বিবরণী জমা দেয়ার কথা ছিল।কিন্তু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৩৯টি দলের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ন্যাপ ছাড়া আর কোনো দল ওই সময়ে হিসাব বিবরণী জমা দেয়নি।তবে গত বুধবার নির্বাচনে দলের ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়ার জন্য সময় বাড়াতে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেয় বিএনপি। ইসির কর্মকর্তারা জানান, আরপিওর ৪৪ সিসিসি ধারায় বলা আছে, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে তাদের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দিতে হবে।
৪৪ডি ধারায় বলা আছে, কোনো দল ৯০ দিনের মধ্যে ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে না পারলে ইসি তাদের সতর্ক করে নোটিশ দিয়ে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে হিসাব জমা দেয়ার নির্দেশ দিতে পারবেএ সময়ের মধ্য কোনো দল হিসাব দিতে ব্যর্থ হলে ইসি তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে হিসাব জমা দেয়ার নির্দেশ দিতে পারবে। কোনো দল এই ধাপেও ব্যর্থ হলে ইসি সেই দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে।
ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানান,বিএনপিসহ ৩৭টি দল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়নি। আরপিও অনুযায়ী,যে দল থেকে সর্বোচ্চ ৫০ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, সে দল সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারে।সর্বোচ্চ ১০০ প্রার্থীর জন্য দেড় কোটি টাকা করা যায়। সর্বোচ্চ ২০০ প্রার্থীর জন্য তিন কোটি টাকা এবং ২শ’র বেশি প্রার্থী দিলে সংশ্লিষ্ট দল সর্বোচ্চ সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয় করতে পারে।সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ২৫৮ জন, বিএনপির ২৪২ জন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২৯৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।আর জাতীয় পার্টি প্রার্থী দেয় ১৭৪ আসনে। দলগুলো চাঁদা ওঅনুদানসহ অন্যান্য খাত থেকে আয় করতে পারে।তবে নির্বাচনে ব্যয় করতে হয় নির্ধারিত খাতে। এগুলো হল- দলীয় প্রধানের ভ্রমণ, পোস্টার, প্রচার কাজের জন্য ব্যয় ইত্যাদি।