সমালোচনা উপেক্ষা করে টাকা ছাপিয়ে আবারও ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক - Alokitobarta
আজ : রবিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
বিপুর বিপুল লুটপাট,পাহারায় উপদেষ্টার স্বামী ! ২৩ লাখ মৃত ভোটার,নতুন ভোটার ৬৩ লাখ সংসদ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের প্রস্তাবে দ্বিমত জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ছাত্র-জনতার গণহত্যায় জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা পুরস্কৃত হচ্ছেন বিতর্কিতরা, বিবেচনায় নেই স্বৈরাচারবিরোধী অগ্রণী ভূমিকা পালনকারীরা চুরি, ডাকাতি, অপহরণ,অবৈধ দখলদারির সহ বিভিন্ন মামলা থাকা সত্ত্বেও দেশকে অস্থিতিশীল করার মাষ্টার মাইন... কুয়েট ভিসি-প্রোভিসিকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি দেশে শক্তিশালী উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সবাই কার্যকর অবদান রাখবেন বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ ১০-এ নেই রাজধানী ঢাকা নির্বাচন ঘিরে ভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

সমালোচনা উপেক্ষা করে টাকা ছাপিয়ে আবারও ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক


ডা.মুন্সী মুবিনুল হক :সমালোচনা উপেক্ষা করে টাকা ছাপিয়ে আবারও ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।গতকাল বৃহস্পতিবার সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল) ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে দেওয়া হয়েছে আরও আড়াই হাজার কোটি টাকা।ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে এ নিয়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ২৯ হাজার ৪১০ কোটি টাকা ছাপিয়ে দেওয়া হলো। যদিও ড. আহসান এইচ মনসুর গভর্নরের দায়িত্ব নিয়ে বলেছিলেন, টাকা ছাপিয়ে আর কোনো ব্যাংককে ধার দেওয়া হবে না।বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, বিগত সরকারের সময়ে রাষ্ট্রীয় মদদে এস আলমসহ কয়েকটি ব্যবসায়ী গ্রুপ ঋণের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এ কারণে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই ব্যাংকগুলো। কয়েকটি ব্যাংকের বাজে অবস্থার প্রভাব পুরো খাতে পড়তে পারে– এমন আশঙ্কায় গত নভেম্বরে ছয়টি ব্যাংককে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরে জানুয়ারিতে আরও ৪ হাজার ৯১০ কোটি টাকা দেয়।

জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন করে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংককে দেড় হাজার এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে দিয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। গত নভেম্বরসহ এসআইবিএল সাড়ে ৫ হাজার এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পেল সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া এক্সিম ব্যাংক সাড়ে ৮ হাজার, ন্যাশনাল ব্যাংক ৫ হাজার, ইউনিয়ন ব্যাংক ২ হাজার ও গ্লোবাল ইসলামী

ব্যাংক ২ হাজার কোটি টাকা পেয়েছে। এবি ব্যাংক ২০০, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ২০০ ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংককে দেওয়া হয়েছে ১০ কোটি টাকা।কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরাসরি টাকা ইস্যুকে ‘মানি প্রিন্টিং’ বা ‘টাকা ছাপানো’ বলা হয়। অবশ্য এই ছাপানোর অর্থ কাগুজে নোট ছেপে ব্যাংকগুলোকে দিচ্ছে তেমন না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা স্থানান্তর করে। তারা সমপরিমাণ টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নিতে পারে। প্রয়োজনে অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে পারে।নোট ছাপিয়ে দিলে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়ে। যে কারণে টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোকে না দেওয়ার পক্ষে মত দিয়ে আসছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে গভর্নর আগের অবস্থান বদলে জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলেই দুর্বল ব্যাংককে টাকা দেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি টাকা দিলে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়ে। তবে ব্যাপক মাত্রায় যেন প্রভাব না পড়ে, সেজন্য একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের মাধ্যমে বাজার থেকে উদ্বৃত্ত টাকা তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ট্রেজারি বিল ও বন্ডের পাশাপাশি দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের মাধ্যমে টাকা তুলছে। যদিও এ উদ্যোগে তেমন সাড়া নেই। সামগ্রিকভাবে গত বছর ব্যাংক খাতের আমানত বেড়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। অধিকাংশ ব্যাংক তারল্য সংকটে চলায় এমন হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন,দীর্ঘদিন ব্যাংক খাতে আস্থার সংকট চলছে। আস্থা বাড়ানোর জন্য আমানতকারীকে বোঝাতে হবে, যে কোনো অঙ্কের টাকা ব্যাংক ফেরত দিতে সক্ষম। এ কারণেই টাকা ছাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন উপায়ে যে পরিমাণ টাকা উঠে আসছে, বাজারে তার কম দেওয়া হচ্ছে। ফলে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ ধারের প্রভাব তেমন নেই মূল্যস্ফীতিতে।

Top