এিপুরা , কাশ্মীরসহ ভারতের বিরোধীপূর্ণ বিভিন্ন রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন জরুরি
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে বর্বরোচিত হামলা, ভাঙচুর, ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড ভেঙে বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীক জাতীয় পতাকা খুলে নিয়ে পোড়ানোসহ বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া কয়েকটি স্থানে ভারতীয় বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভ ও গণমাধ্যমজুড়ে অপপ্রচারের করছে।এ সময় তারা বাংলাদেশ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এসব ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডকে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র ও সাংবাদিক ইউনিয়নের।বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এক যুক্ত বিবৃতিতে এ ন্যক্কারজনক হামলা, মিথ্যা, অপতথ্য ও মূলধারার মিডিয়ার এমন ‘হলুদ’সাংবাদিকতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা জানান।বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশের কোথাও হিন্দুদের মন্দিরে হামলা হয়নি। শত উসকানি সত্ত্বেও আমাদের দেশের মানুষ সব সময় সহ-অবস্থানে শতভাগ বিশ্বাসী। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশে একে অন্যের ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধাশীল।এ দেশে সব মানুষের সমান অধিকার প্রশ্নাতীতভাবে বিদ্যমান। বাংলাদেশের মানুষ আবহমানকাল থেকে বাধাহীনভাবে পরস্পরের ধর্ম পালন করে আসছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত তিনটি বিতর্কিত, স্মরণকালের প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদে আসীন হওয়া স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এই অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী গোষ্ঠী ছাড়া এদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা সবাই অংশগ্রহণ করে। তাদের একটিই লক্ষ্য- মহান মুক্তিযুদ্ধের ভূলুষ্ঠিত স্বপ্ন বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তর করা। তারা বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, এই ইস্যুতে ভারতীয় মুলধারার গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সম্পর্কে মনগড়া, মিথ্যা, ভিত্তিহীন অপতথ্য দিয়ে একের পর এক মিথ্যা সংবাদ তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে। বিশেষ করে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে ভারতের বক্তব্য ও এর প্রেক্ষিতে সেদেশের উগ্রজঙ্গীদের দ্বারা আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের পতাকা ছিঁড়ে ফেলা, কলকাতা ও মুম্বাইয়ে বাংলাদেশের উপ হাই কমিশন কার্যালয়ের সামনে সেখানকার উগ্রবাদী সংগঠনগুলো যুদ্ধংদেহী বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র ও সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে বর্বরোচিত হামলা ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান। ভবিষ্যতে এমন উদ্ভট ও অবান্তর বিষয় নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে পানি ঘোলা না করার আহ্বান জানান নেতাদ্বয় । পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো প্রসঙ্গে দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র ও সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃদ্বয় বলেন, ভারতের মুসলমানদের ওপর যখন হামলা হয়, গরুর গোশত বহন করায় নির্বিচারে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা তো প্রতিবাদ করেন না। আর অসত্য বিষয় নিয়ে তিনি মামারবাড়ির আবদার করছেন। বরং এিপুরা , কাশ্মীরসহ ভারতের বিরোধীপূর্ণ বিভিন্ন রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন জরুরি ।