মির্জাগঞ্জ হাসপাতালে দালালদের উৎপাতে অতিষ্ঠ রোগীরা
মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালের উৎপাতে অতিষ্ঠহয়ে রোগী ও তাদের স্বজনরা। আবার হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানিরপ্রতিনিধিরা রোগীদের হাত থেকে ডাক্তারের দেয়া ব্যবস্থাপত্র নিয়ে মোবাইলদিয়ে ছবি তুলে রাখেন ও দেখেন।তাঁর কোম্পানির ওষুধ ডাক্তার লিখেছেনকিনা। জানা যায়,মির্জাগঞ্জের উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে একাধিকডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক রয়েছে।এসব ক্লিনিকে মহিলা দালাল নিয়োগকরেন এবং তারা হাসপাতাল থেকে রোগীদের কাজ থেকে পরিক্ষা-নীরিক্ষারব্যবস্থাপত্র নিয়ে দালালরা ওইসব ক্লিনিকে নিয়ে যান।এতে রোগীরাদেরসঠিক ভাবে পরিক্ষা-নীরিক্ষা না হওয়ায় রোগীরা প্রতারিত হচ্ছে এমনঅভিযোগ ভুক্তভোগীদের। হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যন্তগ্রামঞ্চাল থেকে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা প্রতিদিনিই প্রতারনার শিকারহচ্ছেন এসব দালালদের হাতে। দালালদের আধিপত্যের কাছে দুর্বল হয়ে পড়ে খোদহাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। বারবার তাদেরকে বলা সত্বেও থেমে নেই দালালের উৎপাত।অভিযোগ রয়েছে,
আবার হাসপাতালের কর্মচারীদের সাথে ক্লিনিকমালিকদের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠায় তারা ওইসব ক্লিনিকে রোগীদেরপাঠিয়ে দেন। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির এসব দালালদের উৎপাত ঠেকাতেতাদের তালিকা তৈরি করে অভিযানে নামে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারেমির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ দিলরুবা ইয়াসমিন লিজাবলেন, আমি এখানে প্রথম আসার পরে দালালদের উৎপাত বন্ধ ছিলো। ক্লিনিকমালিকদের ডেকেও হাসপাতালে দালালরা উৎপাত যাতে না করে সে ব্যাপারেনিদের্শ দেয়া হয়েছিলো। এখন রোগীদের সাথে এরকম ব্যবহার করলে দালালদেরবিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরাসকাল ১০ থেকে ১টার মধ্যে হাসপাতালে প্রবেশ নিষেদ এবং হাসপাতালের মূলফটকে নোটিস দেয়া হয়েছে। তবে কোন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি ওইসময়ে মধ্যে হাসপাতালে প্রবেশ করে ডাক্তারদের ভিজিট করার চেষ্টা করেনতাহলে ফারিয়ার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের সাথে আলাপ করে তাদেরবিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।