মেহেন্দীগঞ্জ রেজিষ্ট্রি অফিসে টাকার বিনিময়ে দাতার স্থলে মূত্যুর পর অন্যজনকে দাতা বানিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রী - Alokitobarta
আজ : বুধবার, ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেন্দীগঞ্জ রেজিষ্ট্রি অফিসে টাকার বিনিময়ে দাতার স্থলে মূত্যুর পর অন্যজনকে দাতা বানিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রী


মোঃ ফেরদাউস:বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে মূত্যুর এক বছর পর দাতা হয়ে দলিল রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে ।গৃহীতাকেবাচাতে চেয়ারম্যান হারুন মোল­া ও মেম্বার আব্দুস ছালেম বলেন, ওয়ারিশদের নামে দলিল ফিরোৎ দিবে । ফয়সালায় রায় দিলেন দলিলফিরৎ দিবে গৃহীতা । জানা গেছে, মেহেন্দীগঞ্জ সাব রেজিষ্টার অফিসে ২৯/০৪/২০১৯ ইং তারিখ ১৮২৩ নাম্বারে একটি দলিলরেজিষ্ট্রি হয়েছে । ১৮২৩ নং দলিলে দাতা শ্রীপুর গ্রামের মৃত্যু আঃ হাসেম ফকিরের পুত্র ছিরাজ ফকির নামে এক ব্যাক্তি । ১৮২৩ নংদলিলের গৃহীতা হলেন শামছু মাতুব্বার নামে এক ব্যাক্তি । জানা গেছে, শ্রীপুর মৌজার ১২০ নং জে এল ৩২৩,৩২২,৩১৪ নং(ডিপি)খতিয়ানের ৩৫০৩,৪০৫,৪০৭,৪০২২,৪১৫,৩৫০২,৩৫৩৩,৪০১৩,৪০২০,৪০২৩,৪০২৪ নং দাগের থেকে ১ একর ২০ শতাংশ জমির দলিলরেজিষ্ট্রি হয় । উক্ত দাগে মোট জমির পরিমান ২ একর ৭৪ শতাংশ । কিন্তু উক্ত জমির মূল মালিক মৃত্যু আবুল কাশেম খান । দলিলের দাতাছিরাজ ফকির আবুল কাশেম খান হয়ে দলিল সম্পাদন করেন । দাতা ছিরাজ ফকির বলেন আমি দলিল সম্পর্কে কিছুই জানি না ।ছিরাজ বলেন, আমাকে পাতারহাট নিয়ে গেছে একটি স্বাক্ষর দিতে । স্বাক্ষরের বিনিময়ে ছিরাজ ফকির পেলেন ৭ হাজার টাকা । ১একর ২০ শতাংশ জমির মূল্য দাড়ায় মাত্র ৭ হাজার টাকা । জমির মালিক আবুর খানের মুত্যুতে তার ওয়ারিশ রয়েছেন, মো: ইসমাইলখান, আবুল বাসার খান, জহুরা বেগম, সাজেদা বেগম, নুরজাহান বেগম, হাজেরা বেগম, নাজমা বেগম । কিন্তু ১৮২৩ নং দলিলেরকেউ দাতা নেই আবুল কাশেম খানের ওয়ারিশগন । গতকাল রোজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদে বসাবসি হলে ১৮২৩নং দলিলের গৃহীতা শামছু মাতুব্বর স্বীকার করেন, মেহেন্দীগঞ্জ রেঝিস্ট্রার অফিসের থেকে মুত’্য ব্যাক্তির স্থলে অন্যজনকে দ্বার করিয়াদলিল করেছেন । এসময় তার শাস্তি সরূপ উক্ত দলিল দ্বারা জমির প্রকৃত মালিক আবুল কাশেম খানের ওয়ারিশদের নামে দলিল ফিরোৎদিবে ।

কিন্তু আবুল কাশেম খানের ওয়ারিশরা জাল দলিল থেকে দলিল নিতে রাজি নয় । গতকাল পাতারহাট সাব রেজিষ্টার অফিসে
আবুল কাশেমের ওয়ারিশগন দলিলের নকল কপি উঠাতে গেলে পেশকার মিজান দেই দিচ্ছি বলে বিভিন্ন তালবাহানা করেন\ পেশকার
মিজানের সেল ফোনে ফোন করলে তিনি কোনো সৎ উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন ।

Top