দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে
আলোকিত বার্তা:সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছি। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছি।তিনি বলেন,সোমবার দলের কেন্দ্রীয় অফিসে যাবো। ধীরে সুস্থে কাজ করতে হবে। দেড় মাস পর পুরো উদ্যোগে কাজ করতে পারবো।তিনি আরো বলেন,আমি তো মরেই যেতাম।বেঁচে আছি। প্রথম ইনিংস শেষ করেছি। ইনশা আল্লাহ এবার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করব। দ্বিতীয় ইনিংসে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মেট্রোরেল,কর্ণফুলী টানেল, ঢাকা উড়ালসড়ক, ঢাকার যানজট নিরসন ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা।সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রবিবার বেলা ১১টার দিকে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এর আগে সচিবালয়ে তাকে স্বাগত জানান সচিব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে বুধবার দেশে ফেরেন তিনি। প্রায় আড়াই মাস পর রবিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে অফিস করছেন। মন্ত্রণালয়ে আসার পর সচিবসহ কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। এরপর তিনি কিছু ফাইলে সই করেন। পরে তিনি সম্মেলন কক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন।সেতুমন্ত্রী বলেন,যানজট নিরসন, মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন এগুলো এখন আমার প্রধান চ্যালেঞ্জ। দলীয় বিষয়ে পার্টি অফিসে কথা বলবো। সড়ক ব্যবস্থা আগের চেয়ে ভালো। এবার ঈদযাত্রায় কোনো ভোগান্তি হবে না। আশা করছি, এবার ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে।তিনি বলেন,২৫ মে গাজীপুর কোনাবাড়ী ও চন্দ্রায় দুটি উড়ালসড়ক ও চারটি আন্ডারপাস উদ্বোধন করা হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন হবে। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তা উদ্বোধন করবেন। আশা করা যায়, এবারের ঈদে আর যানজট হবে না।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে কাদের বলেন, কাউন্সিল যথাসময়ে হবে। দলের একটি টিম সেভাবেই কাজ করছে।অসুস্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন সুস্থ আছি। তবে শারীরিক দুর্বলতাও আছে। এক/দেড় মাস আগের মতো ছোটাছুটি করা যাবে না। দুই মাস পরপর আবার চিকিৎসকের কাছে ফলোআপ করাতে সিঙ্গাপুর যেতে হবে।তিনি আরো বলেন, শরীরের কথা ভেবে আমি প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় না হলেও কাজের অগ্রগতি থেমে থাকবে না। আমার এখানে একটা টিমওয়ার্ক আছে। আমার পার্টিতেও একটা টিমওয়ার্ক আছে।নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমার অনুপস্থিতিতেও আপনারা কাজে কোনো ঘাটতি তৈরি করেননি। এটা আমি সিঙ্গাপুরে থাকাবস্থায়ই প্রধানমন্ত্রীর কাছে শুনেছি। তিনি আমায় বলেছেন, তোমার মন্ত্রণালয় ঠিকঠাক মতো চলেছে।নিজের চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী ১৬ জুলাই চেকআপ করাতে যাব। ভারী কাজ করতে চিকিৎসকরা নিষেধ করেছেন। দুই মাস পরপর চেকআপ করাতে হবে।তিনি আরো বলেন, আগের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে রোদ-বৃষ্টি একাকার করে কাজ করতে হয়তো পারব না। তবে ধীরে ধীরে ২-৪ মাস পর আগের মতো সুস্থ হয়ে উঠব, ইনশাল্লাহ।২ মার্চ হার্ট অ্যাটাকের পর ওবায়দুল কাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৪ মার্চ মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।২০ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার বাইপাস সার্জারি করা হয়। ৫ এপ্রিল ওবায়দুল কাদের হাসপাতাল ছাড়লেও সেখানে একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন তিনি। এরপর গত ১৫ মে দেশে ফেরেন তিনি।