মাদকদ্রব্য সরবরাহ বন্ধ করতে মিয়ানমার সরকার প্রধানকে অনুরোধ করেছিলাম।
আলোকিত বার্তা:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন,মাদকদ্রব্য সরবরাহ বন্ধ করতে মিয়ানমার সরকার প্রধানকে অনুরোধ করেছিলাম। তখন মিয়ানমার সরকার প্রধান আমাদের দেশে মাদকের চাহিদা কমাতে বলেন।বুধবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কর্তৃক দেশব্যাপী ‘কিয়স্ক’ এর মাধ্যমে মাদকবিরোধী ডিজিটাল প্রচার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানা।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। আমরা এই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে এই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার সব রকম চেষ্টা করছি।মন্ত্রী বলেন, মাদক একটি ব্যাধি। যা আমাদের সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ভবিষ্যতের স্বপ্ন বাধাপ্রাপ্ত হবে। সে জন্যই প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন।মাদক আইনে শাস্তির বিধান করা হয়েছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, বর্ডার ক্রস করে মাদক যেন আমাদের দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমাজে ৬৫ শতাংশ তরুণ। তারা কর্মক্ষম আছে। তারা যেনও মাদকাসক্ত হয়ে হারিয়ে না যায় সে জন্য আমরা ‘কিয়স্ক’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রচার করতে যাচ্ছি। মাদকের কুফল এবং মাদকের প্রভাব সম্পর্কে জনগণের কাছে বার্তা পৌঁছিয়ে দিব।তিনি আরো বলেন, মাদকের কোনো সুফল নেই। মাদকের ফলে পড়ালেখা নষ্ট হচ্ছে। যুব সমাজ এবং বৈবাহিক জীবন নষ্ট হয়ে যায়। সামাজিক জীবনে কি হয় আমরা সবকিছুই ‘কিয়স্ক’ এর মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চাই।শিক্ষক ও মসজিদের ইমামদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তারা যেনও স্কুলে ও মসজিদে এক মিনিট হলেও মাদকের কুফল সম্পর্কে বলে। মাদক থেকে যেন আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে পারি। আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।তিনি আরো বলেন, মাদকের চাহিদা কমাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ‘কিয়স্ক’ এর মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী মাদকের প্রভাব, মাদকের কুফল সম্পর্কে জানতে পারবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোঃ শহিদুজ্জামান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব জামাল উদ্দিন আহমেদ।