মহিপুর মাতৃসদন ও সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ডডায়াগনস্টিক সেন্টারের রোগী ভর্তি ফরমেমির্জাগঞ্জে মাতৃসদনে রোগী ভর্তি


মোঃ ফারুক খান,মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি\পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুরে মাতৃসদন ও সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ডডায়াগনস্টিক সেন্টারের রোগীর ভর্তির ফরম ব্যবহার করে মির্জাগঞ্জমাতৃসদন ও সার্জিক্যাল ক্লিনিক নামে চলেছে রমরমা বানিজ্য।অনুমোদন বিহীন এ ক্লিনিকের মালিক পক্ষ শুধুমাত্র পটুয়াখালী সিভিলসার্জন অফিসে মির্জাগঞ্জ মাতৃসদন ও সার্জিক্যাল ক্লিনিকের নামেআবেদন করেই সিজারিয়ানসহ সকল অপারেশন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেঅভিযোগ উঠেছে। ক্লিনিকের মালিক মহিপুর মাতৃসদন ও সার্জিক্যালক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রোগী ভর্তিকৃত কাগজপত্রসহঅন্যান্যে গুরুত্বপূর্ন কাগজ মির্জাগঞ্জ মাতৃসদন ও সার্জিক্যালক্লিনিকের নামে ব্যবহার করছেন। এ ক্লিনিকটি বেসরকারি স্ত্রীরোগ ওপ্রসূতি চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য পর্যপ্তডাক্তার নেই। প্রসূতি,স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিৎিকসক ও সার্জন ডাঃনাঈমা কবির নিজেই একাই এ কাজ করে থাকেন বলে তিনি জানান। শিশুদেরক্ষেত্রে কোন সমস্যা হলে পটুয়াখালী জেলা সদরের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথেআলাপ করে ব্যবস্থাপত্র দেন তিনি। তবে গুরুত্বপূর্ন অসুস্থ্য রোগীদের শিশুকিংবা মহিলাদের পটুয়াখালী অথবা বরিশালে প্রেরন করে থাকেন। এদিকেগত ৮ মে মির্জাগঞ্জ মাতৃসদন ও সার্জিক্যাল ক্লিনিককে ভর্তি হনউপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের চত্রা গ্রামের মোঃ মিলন হাওলাদারেরস্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্তা মোসাস্মৎ মুক্তা আক্তার(৩০) অসুস্থ অবস্থায়এখানে ডাক্তার দেখাতে আসেন। স্বামী মিলন হাওলাদার বলেন,এখানে এসেডাক্তার তাকে ক্লিনিকে ভর্তি করেন এবং আলট্রাসনোগ্রামসহ ব্যবস্থাপত্রদেন। কিছুক্ষন পরে মুক্তার আক্তার সুস্থ্য হন।
পরে ক্লিনিক থেকে একটি ব্যাথানাষক ইনজেকশন পুশ করলে সাথে সাথে মুক্তা প্রচন্ড ব্যাথায় কাতরাতেথাকেন এবং চিকিৎসক ডাঃ নাঈমা কবির তাৎক্ষনিক ভাবে সিজারিয়ানকরতে হবে বলে জানান মুক্তার স্বামী মিলনকে। সিজারিয়ান না হলে তাকে আরবাঁচানো সম্ভব হবে না। পরদিন ৯ মে বৃহস্পতিবার ১৮ হাজার টাকায়চুক্তি করে মুুক্তাকে অপারেশন রুমে নেয়া হয় এবং সিজারিয়ান করে এক পুত্রসন্তান হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাফী রিপোর্ট অনুযায়ী শিশু জন্মের পূর্ন বয়সনা হওয়ায় সিজারিয়ান অপারেশন করায় এবং এতে শিশুর ওজন কম হয়। ওইক্লিনিকে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় নবজাতক শিশুটিকে ওইদিনবিকালে ডাক্তার নাঈমা কবির নবজাতক শিশুটিকে পটুয়াখালী শিশু বিশেষজ্ঞডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বলেন পিতা মিলনকে। পটুয়াখালীতে সন্ধ্যারাতেনবজাতককে নিয়ে গেলে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তাঁর অবস্থা অবনতি দেখেবরিশাল রেফার করেন। এ্যাম্বুলেন্সে করে বরিশাল যাওয়ার পথে পথিমধ্যে লেবুখালীফেরীঘাটে এলাকায় পৌছলে রাত দুইটারদিকে নবজাতক শিশুটি মারা যায়বলে জানান পিতা মিলন হাওলাদার। পরে ক্লিনিক মালিকের সাথে গতকালশনিবার মিলনের সাথে তর্কাতর্কি হয়। তিনি আরো বলেন, পটুয়াখালীরকলাপাড়ার মহিপুরে মাতৃসদন ও সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিকসেন্টারের রোগীর ভর্তির ফরম ব্যবহার করে আমার স্ত্রীকে মির্জাগঞ্জমাতৃসদন ও সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভর্তি করেন।এব্যাপারে মির্জাগঞ্জ মাতৃসদন ও সার্জিক্যাল ক্লিনিক ডাক্তার নাঈমাকবির এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রোগী মুক্তার আক্তার পেটের ব্যাথানিয়ে এখানে আসেন এবং তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে ভর্তি করি।সিজারিয়ান শেষে মা ভালো আছেন এবং নবজাতকটির ওজানে কম থাকায়পটুয়াখালী শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে প্রেরন করি এবং ছোট-খাটোকোন সমস্যা হলে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারে সরনাপন্ন হই। এর পরে কি হয়েছেআমি জানি না। মির্জাগঞ্জ মাতৃসদন ও সার্জিক্যাল ক্লিনিক নামেপটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসে আবেদন করা হয়েছে। এখনও আবেদনটিঅনুমোদন হয়নি। তারা মৌখিক ভাবে অপারেশন করার অনুমতি দিয়েছেন।তিনি আরো বলেন, মির্জাগঞ্জ মাতৃসদন ও সার্জিক্যাল ক্লিনিক নামেরপেট কাগজ শেষ হয়ে গেছে তাই মহিপুর মাতৃসনদ ও সার্জিক্যালক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পেট কাগজে রোগী ভর্তি করাহয়েছে।