বিশ্বসেরা হতো বাংলাদেশ লাহোর প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে
আলোকিত বার্তা:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেছেন, শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের লাহোর প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে বাঙালিদের বাংলাদেশ হতো বিশ্বের সেরা সমৃদ্ধ উন্নত পরিবেশের বাংলাদেশ।শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শনিবার সকাল ৮টার দিকে শেরে বাংলার মাজার প্রাঙ্গণে বরিশাল বিভাগ সমিতি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল বিভাগ সমিতির সভাপতি ইতিহাসবিদ সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বরিশাল বিভাগ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ।
বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিভাগ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ জলিল, সহ সভাপতি ও সাবেক যুগ্ম সচিব আবুল হোসেন, সহ সভাপতি ও বাংলাদেশের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এফ আর খান, আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ করিম, আ.স.ম মোস্তফা কামাল, মেহাম্মদ আলী, সমিতির যুগ্ম সম্পাদক নুরে আলম, হাবিবুর রহমান, আওয়ামী বাস্তুহারা লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ হাওলাদার, জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, এনডিপি’র মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, লাভলী বেগম প্রমুখ।অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শেরে বাংলা বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে আছেন। আর এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই বাঙালিদের মাতৃভাষা বাংলা মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করেছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে। শেরে বাংলা এদেশে মাটি মানুষের রাজনীতি করেছেন। সেই ধারাবাহিকতা আজো অব্যাহত আছে। যে জাতি বিশ্বের কাছে পরিচিত ছিল গরীব হিসেবে আজ সেই জাতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত হচ্ছে। যে স্বপ্ন শেরে বাংলা দেখেছিলেন।
অধ্যাপক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, কৃষকদের মুক্তির লক্ষ্যে শেরে বাংলা ঋণ সালিসী আইন করে গরীব কৃষকদের মুক্তি দিয়েছেন। সারা বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে কৃষক শ্রমিক মেহনতি জনতার ছেলে মেয়েদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। যার ফল আমরা আজ ভোগ করছি। আজ শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষ জেগে উঠেছে।সিরাজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, শেরে বাংলা ছিল বাঙালিদের একমাত্র নেতা। যিনি বাঙালিদের একটি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই কারণেই শেরে বাংলার প্রতিষ্ঠিত চাখার কলেজকে শেরে বাংলার প্রতিষ্ঠিত কলেজটিকে শেরে বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার দাবি জানাচ্ছি আজকের এই সভা থেকে এবং এই সভা থেকে আমরা বলতে চাই শেরে বাংলার মাজার প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও তাজউদ্দিন আহমেদ এই ৫ জনের রাজনৈতিক কর্মময় জীবনের উপর গবেষণা করার জন্য একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার দাবি জানাচ্ছি বর্তমান সরকার প্রধানের কাছে।
আবুল হোসেন তার ভাষণে বলেন, শেরে বাংলার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী জাতীয়ভাবে পালন করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি এবং গণমাধ্যমের কাছে আমাদের দাবি যারা বাঙালি জাতির জন্য কাজ করেছেন তাদের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে একটু সময় নির্ধারিত করবেন এবং খবরের কাগজের জন্য একটি অংশ নির্ধারিত করবেন প্রচারের জন্য।