আমাদের দেশ ঝুঁকিতে থাকলেও হামলার কোনো আশঙ্কা নেই
আলোকিত বার্তা:কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, সারা বিশ্ব এখন ঝুঁকিতে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া ঝুঁকিতে রয়েছে আমরাও ঝুঁকিতে আছি। তবে বৈশ্বিক ঝুঁকির কারণে আমাদের দেশ ঝুঁকিতে থাকলেও হামলার কোনো আশঙ্কা নেই।তিনি বলেন, আমাদের দেশে কোনো হুমকি বা হামলার কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে নেই।রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজের কার্যালয়ে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।সিটিটিসি প্রধান বলেন, নিউজিল্যান্ডে হামলার পর আমাদের দেশের জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে একটি প্রতিশোধপরায়ণ প্রবণতা জেগে উঠেছে। আমাদের বিভিন্ন ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির মাধ্যমে কিছু তথ্য পেয়েছি। তবে হামলার জন্য যে পরিমাণ সরঞ্জামের প্রয়োজন সেগুলো জোগাড় করা অনেক সময়ের ব্যাপার।
তিনি বলেন,এর আগে আমাদের বিভিন্ন অভিযানে তাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা অনেকটা ভেঙে গিয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কায় হামলার ঘটনার পর থেকে নিঃসন্দেহে তারা ইন্সপায়ার্ড হয়েছে। তবে হামলা করার জন্য সাংগঠনিক কাঠামো, মনবল, সরঞ্জাম তাদের নেই। এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার আশঙ্কা নেই।শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরত আসা ১১ বাংলাদেশি শ্রমিকের বিষয়ে মনিরুল বলেন, তাদের কারো বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড পাওয়া যায়নি। তবে সে বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।তিনি বলেন,শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরত ১১ বাংলাদেশি শ্রমিক সেখানকার ইব্রাহিম ইনসাফ আহমেদের কলসাস মেটাল নামে একটি পিতলের কারখানায় পিতলের তৈজসপত্র তৈরির কাজ করতেন। হামলার ঘটনায় ওই ফ্যাক্টরির মালিক নিহত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন,এখন পর্যন্ত আমরা জেনেছি এই হামলা ও ফ্যাক্টরির মালিকের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তবে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কোনো সংশ্লিষ্টতা না পেলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই। এখন পর্যন্ত তারা হামলার সম্পর্কেও কোনো তথ্য দিতে পারেনি।মনিরুল ইসলাম বলেন, এই শ্রমিকদের বেশিরভাগ টাঙ্গাইলের বসবাসকারী। তারা মূলত টুরিস্ট ভিসায় সেখানে গিয়েছিল। তাদের কোনো ওয়ার্ক পারমিট ছিল না। অনেকের আবার ভিসার মেয়াদও ছিল না। হামলার ঘটনায় ওই ফ্যাক্টরির মালিক নিহত হয়েছে। শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ তাদের অ্যাম্বেসির মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে। সেখানে আরো অন্যান্য দেশের শ্রমিকরা ছিল। তাদেরও ফেরত পাঠানো হয়েছে।তিনি বলেন,আমরা এই ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। যে সন্ত্রাসী মারা গেছে আমরা তার সম্পর্কে এবং তার আত্মীয়দের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে তারা কিছুই জানাতে পারেনি। তারা মালিককে দুই/চারবার দূর থেকে দেখেছে। তবে মালিকের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করার কোনো সুযোগ হয়নি। সাধারণ লেবারের মতোই তারা ছিল।শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলকারী অনেকেই আইএস ফেরত জঙ্গি বলে সন্দেহ করছেন দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গত রবিবার ইস্টার সানডের দিন দেশটিতে জঙ্গি হামলায় ২৫৩ জন নিহত হয়েছে।