মন্ত্রীদের ঘুম হারাম খালেদার প্যারোল নিয়ে - Alokitobarta
আজ : বুধবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
প্রাথমিকে পোষ্য কোটা বাদ, মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ কোনো অবৈধ বিদেশির জায়গা হবে না বাংলাদেশে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি পরিবর্তন হলেও আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা হেড অফিসে রয়েছে বহাল তবিয়তে এিপুরা , কাশ্মীরসহ ভারতের বিরোধীপূর্ণ বিভিন্ন রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন জরুরি এিপুরা , কাশ্মীরসহ ভারতের বিরোধীপূর্ণ বিভিন্ন রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন জরুরি এিপুরা ,কাশ্মীরসহ ভারতের বিরোধীপূর্ণ বিভিন্ন রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন জরুরি এবার বিআরটি লেইনে গুলিস্থান হয়ে গাজীপুর চলাচল করবে বিআরটিসির এসি বাস ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত অবসরপ্রাপ্ত সেনারা,ভারতের সঙ্গে আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয় অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ফ্যাসিজমের প্রেতাত্মারা এখনো অবস্থান করছে থেমে আছে গ্রেফতারের উদ্যোগ

মন্ত্রীদের ঘুম হারাম খালেদার প্যারোল নিয়ে


আলোকিত বার্তা:বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও জামিনে বাধা প্রদানের পেছনে সরকারের গভীর নীল নকশা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। তারা (সরকার) দেশনেত্রীকে হয় রাজনীতি থেকে না হয় দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চাচ্ছে।তিনি বলেনগত কয়েকদিন ধরে সরকার দলীয় লোকদের মিডিয়া, মন্ত্রী ও নেতাদের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোল নিয়ে তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। দেশনেত্রীর চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বক্তব্য এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ সাহেবের বক্তব্য বিপরিতধর্মী। এতেই বোঝা যায় তারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসা নিয়ে নিষ্ঠুর তামাশা করছেন।সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন,আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই- নিঃশর্তভাবে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। তাকে সাজানো মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে এক বছরের বেশি সময় কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। জামিন পাওয়া তার নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার। যে মিথ্যা মামলায় তাকে জোর করে সাজা দেয়া হয়েছে, সেই মামলায় অন্যান্য সবাই জামিনে রয়েছেন।অথচ আদালতের ওপর প্রভাব খাটিয়ে শুধু দেশনেত্রীকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। নতুন নতুন গ্রেফতারি পরোয়ানা দেয়া হচ্ছে।তিনি বলেন,মামলা কিছু নয়,আসল উদ্দেশ্য দেশনেত্রীকে তিলেতিলে শেষ করা অথবা সারাজীবনের জন্য রাজনীতির ময়দান থেকে সরিয়ে দেয়া। সেই উদ্দেশ্য সফল না হওয়া পর্যন্ত তাকে বন্দি করে রাখা। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী থেকে শুরু করে তাদের প্রিয়ভাজন ব্যক্তিরা একই ধরনের মামলায় জামিনে আছেন।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পিজি (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তার চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা নেই। তার রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় কোনো অগ্রগতি নেই। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরাও স্বীকার করছেন দেশনেত্রীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আমরা জেনেছি, তিনি একেবারেই হাঁটাচলা করতে পারছেন না। ডায়াবেটিস, হাঁটু ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বেগম খালেদা জিয়া এখন গুরুতর অসুস্থ।রিজভী বলেন,সরকার তার বড় ধরনের কোনো ক্ষতি করার জন্য সময়ক্ষেপণ করছে কি-না এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন গভীরতর হচ্ছে। তবে দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থার ক্ষতিকর কিছু হলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।তিনি বলেন,মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার বিষয়ে এটর্নি জেনারেল যে বক্তব্য দিয়েছেন, যদি তাই হয় তবে তিনি বারবার মিথ্যা মামলায় বেগম জিয়ার জামিন পেতে বাধা দিচ্ছেন কেন? দেশনেত্রী বেগম জিয়ার জামিনে মুক্তি পেতে সরকারের নির্দেশই সবচাইতে বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে।

সরকারের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, এক মাঘে শীত যায় না। পরিস্থিতি সব সময় একই রকম থাকে না। নিজেদের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন, পরিস্থিতি বদলাতে সময় লাগে না। মানুষের আওয়াজ শুনুন। ফুঁসছে মানুষ। পায়ে পা,কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে তারা। তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সব চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র বন্ধ করে দ্রুত দেশনেত্রী জনগণের আস্থার প্রতীক বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিতে আর বাধা দিবেন না। গণমানুষের নেত্রীকে তাদের মাঝে ফিরতে দিন।রিজভী আরও বলেন,বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারান্তরীণ আছেন। তাকে বর্তমানে কারাগারের ফাঁসির সেলে রাখা হয়েছে। জজকোর্ট ও হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকার পরও তাকে বিভিন্ন থানার গায়েবি, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলাগুলোতে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। সরকার তাকে পরিকল্পিতভাবে কারাগারে আটকে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। এটি বর্তমান অমানবিক, নির্দয় ও নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী সরকারের দ্বারা সংঘটিত অপকর্মগুলোর মধ্যে আরেকটি ঘৃণ্য আচরণের বহিঃপ্রকাশ। তার ডায়াবেটিস ২৫ এর উপরে। তাকে ফাঁসির সেলে রাখা শুধু অমানবিকই নয়, তার মানবাধিকারকেও হরনের সামিল। আমি অবিলম্বে হাবিব উন নবী খান সোহেলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।

Top