বহুরূপী ফরিদা বেগমের প্রতারণায় শেষ কোথায় মৃত পিতার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায়



সজিব তালুকদার ,রিপোর্টার:বেসামরিক গেজেট নং ১৪৮৫ দিয়ে ২৩/০৫/২০০৫ সালে বহুরূপী ফরিদা বেগম তার মৃত্যু হিঙ্গুল উদ্দিন তাং বাবা নাম দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সকল সুযোগ – সুবিধা ভোগ করিতেছে,সূত্রে বর্ণিত উক্ত ব্যক্তি বাগেরহাট জেলার,শরণখোলা, তাফালবাড়ি,দক্ষিন সাউথখালী গ্রামের একজন কৃষক ও অতি সাধারণ লোক ছিল,সে ১৯৭১ সালে মার্চ মাসে ৩০ তারিখ যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে, স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে কোথাও অংশ গ্রহণ করে নাই সে। কোন সেক্টর কমান্ডারের অধীনে কোথায় যুদ্ধ করেছে এবং তার অস্ত্র কোথায় জমা দিয়েছেন, এমন কোন নজীর নেই, সে যুদ্ধকালীন সময় যুদ্ধে অংশ গ্রহণ না করে স্বাভাবিক ভাবে মৃত্যুবরণ করেন। তাহার মৃত্যুর সময় পরিবারে এক মেয়ে ফরিদা বেগম ও স্ত্রী জহুরা বেগমকে রেখে মৃত্যুবরণ করেন৷ তাহার পরিবারের লোকজন অর্থের বিনিময় অসৎ উপায়, অবলম্বন করে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করান ৷ বর্তমানে তাহার কন্যা ফরিদা বেগম মুক্তিযোদ্ধার সকল সুযোগ – সুবিধা ভোগ করিতেছেন ।
শুধু তাই নয় বহুরুপী ফরিদা বেগম প্রথম স্বামী মৃত্যুবরণ করেন এবং দ্বিতীয় বিবাহ করেন,প্রথম স্বামীর সংসারে তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে ১৫/০৩/২০১১ সালে দ্বিতীয় বিবাহ বসেন,স্বামী মোঃ জামাল পহলান এর সাথে দ্বিতীয় স্বামী ঢাকা কেরানীগঞ্জ একটিক কাঁচা বাজার মার্কেটের নাইট গার্ড হিসেবে চাকরি করে, দ্বিতীয় স্বামী ও ফরিদা বেগম এককি গ্রামের ছেলে।বিয়ের (১২)বার বছর সংসার জীববে দ্বিতীয় স্বামী সাথে, তার দাম্পত্য জীবন সুখ ও শান্তিতে ছিল দ্বিতীয় স্বামী জামাল পালোয়ান সঞ্চয় ও উপার্জনের টাকা দিয়ে, গ্রামের বাড়িতে জমি ক্রয় করার জন্য স্ত্রী ফরিদা বেগম এর কাছে টাকা দিলে সেই টাকা নিয়ে ফরিদা বেগম নিজ নামে জমিটি ক্রয় করে এবং পূর্বের প্রথম স্বামী মৃত আঃ মালেক ফরাজী নাম দিয়ে জমিটি ক্রয় করে ১১/০৪/২০১৮ তারিখে দলিল নং ৮৫১আরও জানা যায় সেই ক্রয়কৃত জমির উপরে এক তলা বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করেন, নির্মাণ করা শেষ হওয়ার পরপরই দ্বিতীয় স্বামী মোঃ জামাল পহলান কে সেই বাড়িতে আসতে না করেন ফরিদা বেগম এবং জামাল পালোয়ান যখন বলে আমি আমার বাড়িতে আসবো, তুমি কেন নিষেদ করো তখন উত্তরে ফরিদা বেগম বলে,এই বাড়ি আমার নামে ক্রয় করা, তখন জামাল পহলান বলেন টাকা তো আমি দিছি আমার টাকা দিয়ে তোমার ও আমার নামে জমি ক্রয় করার জন্য, তখন ফরিদা বেগম বলেন এই বাড়ির মালিক আমি তোমার কোন অধিকার নাই,তখন দ্বিতীয় স্বামীর জামাল পহলান জমির দলিল দেখতে চাইলে তখন তাকে ক্রয় কৃত জমির দলিল এর ফটোকপি দেয়, এবং সেই দলিলে দেখতে পায় জামাল পলোয়ান এর নাম দলিলে কোথাও নেই এবং তার পূর্বের প্রথম মৃত স্বামী আঃ মালেক ফরাজীনাম ব্যবহার করে জমির দলিল করেছে৷ দ্বিতীয় স্বামী বলেন আমার টাকা দিয়ে জমি ও বাড়ি করেছি এই বাড়ির মালিক আমি,তখন বহুরুপী ফরিদা বেগম তার নামে ক্রয় করা জমি তার পূর্বের প্রথম সংসারের তিন ছেলের নামে হেবা দলিল করিয়া দেয়।২৪/০২/২০২২ তারিখে এবং জামাল পহলানকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ও তালাকের হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী ওই দ্বিতীয় স্বামী বলেন,ফরিদা বেগম ও তার তিন ছেলে বেলাল ফরাজি, হেলাল ফরাজি ও হাছান ফরাজি ভয়ভিত্তি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়৷