বিভিন্ন খাত সংস্কারে গণমাধ্যমসহ আরও ৪টি কমিশন গঠন করেছে সরকার
মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া : বিভিন্ন খাত সংস্কারে গণমাধ্যমসহ আরও ৪টি কমিশন গঠন করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।কমিশনগুলোর প্রধান হিসাবে চারজনের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্যবিষয়ক কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ, গণমাধ্যম কমিশনের প্রধান কলামিস্ট কামাল আহমেদ, শ্রমিক অধিকার কমিশনে সুলতান উদ্দিন আহমেদ এবং নারীবিষয়ক কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক। ৭-১০ দিনের মধ্যে কমিশন চারটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে। এ সময় জানানো হয়, জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রত্যেক শহিদপরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ৩০ লাখ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।রিজওয়ানা হাসান বলেন, কমিশনপ্রধানদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ৭-১০ দিনের মধ্যে সদস্য নির্বাচন করে নতুন চারটি কমিশনের পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। তবে ভুয়া খবর বা ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন খাত সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন করে। এগুলো হলো-সংবিধান, বিচার বিভাগ, পুলিশ, জনপ্রশাসন, নির্বাচন ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।মাহফুজ আলম বলেন, জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রত্যেক শহিদ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ৩০ লাখ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে এ টাকা দেওয়া হবে। পরে যাচাই-বাছাই করে যদি আরও প্রয়োজন হয়, তাও দেওয়া হবে। তিনি জানান, জুলাই-আগস্টে যারা শহিদ হয়েছেন, শুধু তাদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে, বিষয়টি এমন নয়। যারা আহত হয়েছেন, তাদের পরিবারকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আহতদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহে একটি দৃশ্যমান উদ্যোগ নেওয়া হবে।এ নিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আহত কাউকে যদি উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে একটি তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। যদি আরও বেশি হয়, আমরা তা করব। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আবারও স্পষ্ট করা হচ্ছে, আহতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি বরদাশত করা হবে না। বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে তাদের বিনা পয়সার চিকিৎসার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। তারপরও যারা পয়সা দিয়েছেন, সেটা ফেরত দিতে বলা হয়েছে।