সাংবাদিকতায় দক্ষতা ও নৈতিকতার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি
আলোকিত বার্তা:সাংবাদিকতায় দক্ষতা ও নৈতিকতার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম।শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে পিআইবির সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত পিআইবি’র গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স (১ম পর্ব) ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম বলেন, ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে নিজেকে প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। নতুবা পেশায় টিকে থাকা চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ান একজন নাগরিকের পুত্র ইরাকে নিহত হন। নিহতের বাবার কাছে প্রত্যাশার কথা মিডিয়া জানতে চাইলে ইরাকে যুদ্ধ না করার পক্ষে মত দেন। তিনি বলেন, আমার সন্তান হারিয়েছি, এজন্য আমি যুদ্ধ কামনা করতে পারি না। এটা দ্বারা প্রধান অতিথি নৈতিকতার ভিত্তি কতটা শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন সেটা বোঝাতে চেয়েছেন।মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম পিআইবি’র গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স কোর্সের একাডেমিক বিষয়ে আলোচনা করেন ও কোর্সের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের বক্তব্যে পিআইবি’র মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসু্দ্দিন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতার কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রচলিত গণমাধ্যমসমূহের জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা থাকলেও সামাজিক মাধ্যমসমূহের সেটা মানসম্মত পর্যায়ে নেই। আমাদের প্রয়োজন প্রচলিত গণমাধ্যমসমূহ আরো বেশি পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া।পিআইবি মহাপরিচালক বলেন, বর্তমান চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমাদের গণমাধ্যমের প্রশিক্ষিত গণমাধ্যম কর্মী ও সঠিক রাষ্ট্রীয় নীতি সহায়তা দরকার। এই প্রশিক্ষিত গণমাধ্যম কর্মী গড়ে তুলতে কাজ করে পিআইবি। আর রাষ্ট্রীয় নীতিসহায়তা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় করে।আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসু্দ্দিন বলেন, গণমাধ্যমের উপযোগিতা ও সমালোচনা উভয়ই আছে। নৈতিকতার অবক্ষয় থেকেই হলুদ সাংবাদিকতার বিস্তৃতি। তাই গণমাধ্যম কর্মীদের দৃঢ় নৈতিকতা থাকাও জরুরি।
তিনি আরো বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পিআইবি একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেটি সাংবাদিকতায় মাস্টার্স ডিগ্রি দিয়ে থাকে। তবে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে।আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসু্দ্দিন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকলে ছবি, সংবাদ ও অন্য বিষয় খুব সহজে সত্য উদঘাটনে সাহায্য করতে পারবে। তাই বর্তমান সময়ের পরেপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের গুজব প্রতিরোধে কারিগরি জ্ঞান আহরণ করা উচিত।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিআইবি’র গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী পংকজ কর্মকার। এছাড়া পিআইবি’র অধ্যয়ন শাখার প্রভাষক লাজিনা আক্তার জ্যাসলিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পিআইবির গবেষণা ও তথ্য সংরক্ষণ বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. কামরুল হক, সহকারী সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান ও প্রশিক্ষক পারভীন সুলতানা রাব্বি, নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন চৌধুরী ও প্রভাষক শুভ কর্মকার।
এছাড়া অনুষ্ঠানে পিআইবির রিসার্চ অফিসার শেখ মজলিশ ফুয়াদ, সহকারী সম্পাদক শাহেলা আক্তার, জ্যেষ্ঠ্ গবেষক কামরুন নাহার, প্রশিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ শাহ আলম, মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার অতিরিক্ত দায়িত্ব মোহাম্মদ আফতাব উদ্দীন ভূঁঞাসহ পিআইবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে পিআইবি’র গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স (১ম পর্ব) ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ও পূর্ববর্তী ব্যাচের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স (১ম পর্ব) ২০২২ শিক্ষাবর্ষ ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্সের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন পিআইবি মহাপরিচালক।