কার্যকর উদ্যোগ নিন এলডিসির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়
মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া:এলডিসি উত্তরণের পর সম্ভাবনা কাজে লাগানো এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ২০২৬ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশন হবে। এখন থেকে এ নিয়ে কাজ করতে হবে। সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়নে অল্প টাকা দিলে কাজ সম্পন্ন করা যাবে সেগুলোতে দ্রুত বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার। এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার, কৃষি, পানি ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য আবদুল বাকী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. মোহাম্মদ ইমদাদ উল্লাহ মিয়ানসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বিষয়ে সত্যজিত কর্মকার বলেন, মিসরে যে চ্যান্সারি ভবন তৈরি হবে সেখানে প্রবাসীদের জন্য ওয়েটিং রুম, ওপেন স্পেস এবং বুথ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, ‘প্রবাসীরা যাতে সেবা নিতে কোনো কষ্টের শিকার না হন, বেশি ভিড় হলে একাধিক বুথের মাধ্যমে সেবা নিতে পারেন এজন্যই এই কাজ করতে হবে এছাড়া কুড়িগ্রামের উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, ‘বড় প্রকল্পের সঙ্গে রাস্তা-ব্রিজ ইত্যাদি তৈরির ক্ষেত্রে কুড়িগ্রামকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কেননা ১৬টি নদ-নদী বেষ্টিক কুড়িগ্রাম জেলায় নদীভাঙন, বন্যাসহ নানা দুর্যোগে মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন। পাশাপাশি দেশের অন্যতম দরিদ্রতম জেলা হলো কুড়িগ্রাম।এছাড়া সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় নির্মিত বা নির্মিতব্য ইউপি ভবনগুলোতে বৃষ্টির পানি ও সোলার প্যানেল বসাতে বলেছেন। তাঁত বোর্ডের একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে তিনি বলেন, এর আওতায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।