বর্ষার সময় ঘরে পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে বাঁচতে করণীয় - Alokitobarta
আজ : বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
দেশের আবহাওয়ায় বিরাজ করছে মরুভূমির তাপ,বৃষ্টির বাতাস সরে গেছে চীনের দিকে আকাশে বুলেট-বারুদের ধোঁয়া,ঘুম থেকে উঠলেই সাইরেনের শব্দ তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক ব্যাংক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ গণমাধ্যমে প্রচারিত খবর সঠিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না,জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের উন্নতি হয়নি দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান না দেখালে তা শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসাবেই গণ্য করা হবে শহর, বন্দর, গ্রাম-সব জায়গায় গ্রীষ্মের রুদ্ররোদ গ্যাসের মূল্য ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে,বেড়েছে বিদ্যুতের মূল্যও প্রতিটি ধাপেই ভোটের দিন পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে-এমন আশঙ্কা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীর ‘স্বজন’ নিয়ে জটিলতা আওয়ামী লীগে

বর্ষার সময় ঘরে পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে বাঁচতে করণীয়


আলোকিত বাতা:বর্ষা কাল অনেকের খুব পছন্দের হলেও এই ঋতুতে বেশ ঝামেলা। আবার বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে গরমের তীব্রতা। সেই সঙ্গে বাড়ে পোকামাকড়ের উপদ্রবও। মশা, মাছি, পিঁপড়া, তেলাপোকা তো বটেই, অনেক অচেনা-অজানা পোকামাকড়ের উপদ্রবও ঘটছে এই বৃষ্টিবাদল আর গরমে। তাই নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষায় ঘরদোরও পরিষ্কার রাখুন। এতে রোগবালাই যেমন কম হবে, তেমনি আপনার গৃহকোণটিও থাকবে পোকামাকড়মুক্ত।

বর্ষায় স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার সঙ্গে বাড়ী-ঘর অপরিষ্কার থাকলে পোকামাকড়ের উপদ্রব বেশি হয়। তাই সবার আগে বর্ষায় ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখুন। ঘরের কোনায় জমে থাকা ঝুল, খাটের নিচে ধুলা, সোফার কোণে ময়লা পরিষ্কার করে নিন।

মশা, মাছি তাড়ানোর সহজ উপায় হলো কয়েক টুকরা কর্পূর আধা কাপ পানিতে ভিজিয়ে ঘরের এক কোণে রেখে দিন। মশা-মাছি উপদ্রব অনেক কমে যাবে। পিঁপড়ার উপদ্রব কমাতে দরজা ও জানালায় বোরিক পাউডার ঢেলে রাখুন। তোশক বা গদির তলায় শুকনা নিমপাতা রেখে দিন, পোকামাকড় হবে না।
বর্ষায় রান্নাঘরে পোকামাকড়ের উপদ্রব সবচেয়ে বেশি হয়।

পোকার উপদ্রব কম রাখতে রান্নাঘর সব সময় ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার রাখুন। রান্নাঘরের বিভিন্ন কর্নার, ময়লার ঝুড়ি, সিংকের নিচে, কেবিনেটের কর্নার, চুলোর নিচসহ বিভিন্ন স্থানে যেন ময়লা জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ রাখুন। রান্নাঘর প্রতিদিনই একবার স্যাভলন কিংবা ভিনেগার দিয়ে মুছে জীবাণুমুক্ত করুন। রান্নাঘর যেন স্যাঁতসেঁতে না থাকে সেদিকেও লক্ষ রাখুন।

গরম পানিতে সাবান, কেরোসিন তেল মিশিয়ে খাটের তলায় ও ঘরের কোণে স্প্রে করুন। পোকার উপদ্রব কমবে। রান্নাঘরে ঢাকনা দেওয়া ডাস্টবিন ব্যবহার করুন। মাছির সমস্যা দূর হবে। ব্যবহারের পর প্রতিদিন ডাস্টবিন পরিষ্কার করুন।

বর্ষায় রান্নাঘরের সিংক দিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন পোকা উঠে আসে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ফুটন্ত পানি একদিন পর পর রান্নাঘরের সিংকের পাইপ দিয়ে ঢেলে দিন। বাথরুমের কমোড কিংবা বেসিনের পাইপে গরম পানি ঢাললেও পোকামাকড় উঠবে না। লক্ষ রাখুন, গরম পানি যেন কমোড কিংবা বেসিনের ওপরে না পড়ে সরাসরি পাইপে পড়ে। তা না হলে কমোড কিংবা বেসিনে চিড় ধরতে পারে।

প্রতিদিন ঘরের মেঝে পরিষ্কার করুন। ঘর মুছতে ফিনাইল বা অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড ব্যবহার করুন। এতে পোকামাকড়ের আনগোনা অনেকটাই কমে যাবে।

নিমপাতা ও কালোজিরা প্রাকৃতিক কীটনাশক। এই ঋতুতে রান্নাঘরের কেবিনেট, আলমারি, বুক শেলফসহ ঘরের বিভিন্ন তাক ও কেবিনেটে শুকনো নিমপাতা বা কালোজিরা কাপড়ে বেঁধে রেখে দিন। কেবিনেটে পোকামাকড়ের উপদ্রব একদমই কমে যাবে।

Top
%d bloggers like this: