শিশুর ভরণ-পোষণ ব্যয় বহনের নির্দেশ
মোহাম্মাদ আরিফ : ২০০৬ সালে হবিগঞ্জের এক ধর্ষণ মামলার আসামিকে বিচারিক আদালতে দেওয়া খালাসের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের পর জন্ম নেওয়া শিশুর ভরণ-পোষণের ব্যয়ভার বহনের নির্দেশ দেওয়া হয়।বিচারিক আদালতের রায় বাতিল চেয়ে বাদীর (ভিকটিম) আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শরীফুজ্জামান মজুমদার। আবেদনকারী ভুক্তভোগীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আক্তারুজ্জামান।
বিয়ের কথা বলে ভুক্তভোগীকে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের টিলাগাঁও এলাকার ছিদ্দিক আলীর ছেলে কাছুম আলী ধর্ষণ করেন। ২০০৫ সালের ৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ সেন্ট্রাল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষায় গর্ভে সন্তান থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন ভিকটিম। গর্ভধারণের পর কাছুম আলী তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এরপর ২০০৬ সালের ২১ জুলাই কাছুম আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। এর মধ্যে ভুক্তভোগী নারী এক সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।ওই মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ আসামিকে খালাস দেন। এ রায় বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ভুক্তভোগী। ওই আবেদনের পর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। মঙ্গলবার সেই রুল মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।