গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
বেশ কয়েকটি আসনে স্বতন্ত্র সংসদ-সদস্যের ক্ষমতার কাছে অসহায় তারা সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এমন উদ্যোগ দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর দুর্দশাগ্রস্ত সম্পদের তথ্য প্রকাশ করতে হবে দেশের আবহাওয়ায় বিরাজ করছে মরুভূমির তাপ,বৃষ্টির বাতাস সরে গেছে চীনের দিকে আকাশে বুলেট-বারুদের ধোঁয়া,ঘুম থেকে উঠলেই সাইরেনের শব্দ তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক ব্যাংক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ গণমাধ্যমে প্রচারিত খবর সঠিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না,জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের উন্নতি হয়নি দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান না দেখালে তা শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসাবেই গণ্য করা হবে

গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান


আলোকিত বার্তা :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সবসময় গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি, গাজায় যা ঘটছে, তা গণহত্যা। তাই আমরা কখনোই এটিকে সমর্থন করি না। শনিবার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ আহ্বান জানান।শেখ হাসিনা বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বেঁচে থাকার ও তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের অধিকার রয়েছে। তিনি বলেন, গাজার জনগণের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। সেখানে যা ঘটছে, তা খুবই দুঃখজনক। আমাদের উচিত তাদের সাহায্য করা এবং এই আক্রমণ ও যুদ্ধ বন্ধ করা। শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতাদের প্রতি ফিলিস্তিনের দুর্দশাগ্রস্ত শিশু, নারীসহ জনগণকে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তাদের জন্য কিছু সহায়তা পাঠিয়েছে।

দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে ইসরাইলি অভিযানের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কখনোই এ ধরনের আক্রমণকে সমর্থন করেনি। ফিলিস্তিনি জনগণের নিজস্ব রাষ্ট্রের অধিকার থাকা উচিত। তিনি আরও বলেন, ১৯৬৭ সালের জাতিসংঘ প্রস্তাবে দুটি রাষ্ট্রের তত্ত্ব রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করা উচিত।প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানিতে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে আজ দেশে ফিরছেন। রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট জার্মানির মুনচেন ফ্রাঞ্জ জোসেফ স্ট্রস বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। আজ বেলা ১১টায় ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।

জার্মানিতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকজন বিশ্ব নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় শেখ হাসিনা যুদ্ধ, বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান জানান।ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বর্তমান পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন এবং জার্মান ফেডারেল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমন্ত্রী সভেনজা শুলজেও শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসা করার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতীয় মুদ্রা টাকা ও রুপি ব্যবহারের ওপর জোর দেন।

Top
%d bloggers like this: