মুমিন কখনও কারও হক ও অধিকার নষ্ট করেনা - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
বেশ কয়েকটি আসনে স্বতন্ত্র সংসদ-সদস্যের ক্ষমতার কাছে অসহায় তারা সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এমন উদ্যোগ দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর দুর্দশাগ্রস্ত সম্পদের তথ্য প্রকাশ করতে হবে দেশের আবহাওয়ায় বিরাজ করছে মরুভূমির তাপ,বৃষ্টির বাতাস সরে গেছে চীনের দিকে আকাশে বুলেট-বারুদের ধোঁয়া,ঘুম থেকে উঠলেই সাইরেনের শব্দ তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক ব্যাংক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ গণমাধ্যমে প্রচারিত খবর সঠিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না,জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের উন্নতি হয়নি দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান না দেখালে তা শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসাবেই গণ্য করা হবে

মুমিন কখনও কারও হক ও অধিকার নষ্ট করেনা


আলোকিত বার্তা: মুমিনের স্থান জান্নাত।মুমিন ছাড়া কেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।মুমিন কখনও কারও হক ও অধিকার নষ্ট করেনা। গতকাল জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে পেশ ইমাম এসব কথা বলেন।বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো.রুহল আমিন গতকাল জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, আল্লাহ জিবরিল (আ.) এর মাধ্যমে পবিত্র কোরআন নাযিল করেছেন। কোরআনে একটি জের জবরও ভুল হবার কোনো সন্দেহ নেই। খতিব বলেন, রাসূল (সা.) পবিত্র কোরআনকে বুঝার জন্য যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা’যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কোরআনের হুকুম আহকামগুলোকে যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কোরআনের দেখানো পথে অগ্রসর হতে পারলে দুনিয়া ও আখেরাতে নাজাত পাওয়া যাবে।

গতকাল রাজধানীর মহাখালীস্থ মসজিদে গাউছুল আজমের খতিব জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে এসব কথা বলেন, জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত হতে হবে আল্লাহ ও তার রাসূলের রাজি-খুশি এবং ইসলাম ও সাধারণ জনগণের পক্ষে। আবেগ-অনুভূতি, ভয়-ভীতি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমরা যেন এমন কোন কাজ, সিদ্ধান্ত না নিয়ে ফেলি যা ইসলামী তাহজিব-তামাদ্দুনের পরিপন্থি সেব্যাপারে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। হাদিসের উদ্বৃতি দিয়ে খতিব বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ ভালো-মন্দ চিহ্নিত করে রেখেছেন। যে ব্যক্তি ভালো কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে; কিন্তু তা করেনি, আল্লাহ তার জন্য একটি পূর্ণ নেকি লিখেন। আর যদি ভালো কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর তা বাস্তবায়ন করে, তাহলে আল্লাহ তাকে এই একটি ভালো কাজের জন্য ১০ গুণ থেকে সাত’শ গুণ, বরং বহুগুণ পর্যন্ত ভালো কাজ হিসেবে লিখেন (বুখারি, হাদিস : ৬১২৬; মুসলিম, হাদিস : ৩৫৫)। সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, যদি তোমরা না জানো, তাহলে যারা জানে তাদের জিজ্ঞেস করো (সূরা নাহল, আয়াত : ৪৩)। এ আয়াত দ্বারা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সঠিক সিদ্ধান্তের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন, একই সাথে নির্ভুল সিদ্ধান্তের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন। ব্যক্তি, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যেকোন সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্বে অবশ্যই ভাবতে হবে এটি ইসলাম সমর্থিত কিনা? আল্লাহ ও তার রাসূলের সিদ্ধান্তের সাথে সাংঘর্ষিক কিনা? আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন। মীরপুরের ঐতিহ্যবাহী বাইতুল মামুর জামে মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী গতকাল জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, মুমিনের স্থান জান্নাত । মুমিন ছাড়া কেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

প্রকৃত মুমিন আল্লাহর ইবাদাতে শান্তি খুঁজে পায়। বাহুল্য কথাবার্তা ও কাজ কর্ম থেকে বিরত থাকেন। অলসতা অকর্মতাকে কোন প্রকার আশ্রয় দেয় না। সর্বদা আল্লাহর হুকুম মোতাবেক কল্যাণময়ী কাজে নিজেকে মশগুল রাখতে পছন্দ করেন। মুমিন কখনও কারও হক ও অধিকার নষ্ট করেনা। শত ব্যস্ততার মাঝেও আল্লাহকে ভুলে যায়না। রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শকে জীবনের জন্য উভয় জগতের কল্যাণের পাথেয় হিসাবে মান্য করে। মানুষকে কষ্ট দেয়না। সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করেনা। আবার অসত্যের কাছে মাথাও নত করেনা। সদা সত্যের উপর অবিচল থাকে। হারামের কাছেও যায়না। আগ্রহের সাথে সওয়াবের কাজে অংশ গ্রহণ করেন। কখনও আল্লাহর জিকির তথা স্মরণ থেকে গাফেল হয়না। বিপদে আপদে ধৈর্য্যশীলতাকে অভ্যাসে পরিণত করে নেয়। যথা সময়ে নামাজ আদায় ও আল্লাহর পথ ব্যয় করতে কুণ্ঠাবোধ করেনা। সর্বোপরি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সদা প্রস্তুত থাকে। খতিব বলেন, আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, মুমিনগণ সফলকাম । তারা নিজেদের নামাজে খুবই বিনয়ী। আর তারা বাহুল্য কাজ থেকে বিরত থাকে। (সূরা মুমিনুন আয়াত নং ১-৩)। তিনি আরও বলেন, মুমিন যখন জিকির করে তখন তার অন্তর নরম হয়ে যায় আর তারা মুসিবতে ধৈর্য ধারণ করে, নামাজ আদায় করে এবং আল্লাহর দেয়া সম্পদ (তার পথে) ব্যয় করে ।(সূরা হজ, আয়াত নং ৩৫)।রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, মুমিন সম্মানী ও বিনয়ী হন। (আল হাদিস )। তিনি আরও বলেন, মুমিন অপরের ক্ষতি করে না। সমাজে বিপর্যয় ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন না। (আল হাদিস )। নবীজি সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, মুমিন অপরের হক নষ্ট করেন না। নিজের হক মাফ করে জান্নাত লাভে ধন্য হয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে খাঁটি মুমিন হওয়ার তাওফিক দান করেন। আমিন।

Top
%d bloggers like this: