এক মাস সময় কাদের সিদ্দিকীর অসঙ্গতি দূর করতে ঐক্যফ্রন্টকে
আলোকিত বার্তা:জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে বলে দাবি করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী এসব অসঙ্গতি দূর করার জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দকে এক মাসের সময়সীমা বেধে দিয়েছেন।তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। এসব অসঙ্গতি ও কিছু প্রশ্নের উত্তর আগামী এক মাসের সুরাহা না হলে ৮ জুন এই ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যাবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।রাজধানীর মতিঝিলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন কাদের সিদ্দিকী।কাদের সিদ্দিকী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার আল্টিমেটাম দেয়ার আগে জোটের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, আ স ম আব্দুর রব, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মাহমুদুর রহমান মান্না, মোস্তফা মোহসিন মন্টুর সঙ্গে কথা বলেছি। তাদেরকে জোটের মধ্যকার অসঙ্গতির কথা বলেছি।
তিনি বলেন, ১৩ অক্টোবর ড.কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল।সেই বছর ৫ নভেম্বর আমরা ঐক্যফ্রন্টে যোগদান করি। কিন্তু এই জোটে নির্বাচনের পর অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।তিনি আরো বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন পরবর্তী কিছু কিছু কাজে মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তারা সঠিকভাবে চলতে পারেনি। নির্বাচনি সহিংসতায় আহত-নিহতদের পাশে দাঁড়াতে পারেনি ঐক্যফ্রন্ট। সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল শাহবাগে গণজমায়েত করতে ব্যর্থ হয়েছি আমরা।ড.কামাল হোসেনের কিছু সিদ্ধান্তে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন,৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে নির্বাচনের নামে জঘন্য নাটক হয়েছে।যা শুধু বাংলাদেশে নয়,পৃথিবীর কোনো দেশেই এমন নাটকের নজির নেই।কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন প্রত্যাখান করার পরও গণফোরামের সুলতান মুনসুর শপথ নিলে তাকে বহিষ্কার করা হয়। মোকাব্বির খান শপথ নিলে ড.কামাল হোসেন তাকে ‘গেট আউট’বলেন। পরে দেখা যায় গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিলে মোকাব্বির খান উপস্থিত।এসব নিয়ে মানুষের মধ্য বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন,এসব বিষয় আমাদেরকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। মানুষ এসবের উত্তর জানতে চায়।মানুষ এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আমরা জবাব দিতে পারি না।সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার।