থেমে থেমে বৃষ্টি বরিশালে
আলোকিত বার্তা:ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে বরিশালেও। সেসঙ্গে কিছুটা বেড়েছে বাতাসের গতিবেগও।বৃহস্পতিবার (২ মে) থেকেই ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বিভাগের বরিশালসহ উপকূলীয় জেলাগুলোর অভ্যন্তরীণ নৌরুটে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি জনসাধারণকে ঘূর্ণিঝড় ফণী’র বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আগাম সতর্কতামূলক বার্তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আ. হালিম ভূইয়া জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারত থেকে বাংলাদেশর দিকে অগ্রসর হওয়ার কারণে বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চলে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সেইসঙ্গে সকালের থেকে এখন বাতাসের গতিবেগও কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে ১২ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।
স্থানীয়রা জানান,শুক্রবার (৩ মে) জুমার নামাজের আগে বেলা ১টার দিকে আকাশের মেঘ কালচে রুপ ধারণ করে। বেলা ১টা ৫ মিনিটে বৃষ্টি শুরু হলেও, কয়েক মিনিটের মাথায় তা আবার থেমে যায়। এরপর দমকা হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেলা ২টা থেকে আবারও বৃষ্টিপাত শুরু হলেও ১৫ মিনিটের মাথায় ফের থেমে যায়। তবে আকাশ এখনও মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশও কিছুটা গুমোট বেঁধে রয়েছে।এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী জুমার নামাজ শেষে মসজিদে মসজিদে দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিশেষভাবে দোয়া করা হয়েছে।
অন্যদিকে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় নদীর পানির উচ্চতাও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া সাগরও কিছুটা উত্তাল থাকায় বরিশাল বিভাগের ভোলা,পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী বরিশাল,পটুয়াখালী ও ভোলার কিছু স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হয়েছে।ইতোমধ্যে প্রশাসনের উদ্যোগে ভোলা, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা সংলগ্ন সমুদ্রতীরবর্তী এবং বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যারা এখনও নিরাপদ স্থানে যায়নি, তাদেরও যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সাগর ও উপকূলীয় এলাকার নদী থেকে মাছ ধরার সকল প্রকার নৌকা ও ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।এদিকে শুক্রবার সকাল থেকেই বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন দুর্যোগের আগে ও পরে করণীয় বিষয় নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করছে।