মারধর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে - Alokitobarta
আজ : বুধবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
প্রাথমিকে পোষ্য কোটা বাদ, মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ কোনো অবৈধ বিদেশির জায়গা হবে না বাংলাদেশে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি পরিবর্তন হলেও আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা হেড অফিসে রয়েছে বহাল তবিয়তে এিপুরা , কাশ্মীরসহ ভারতের বিরোধীপূর্ণ বিভিন্ন রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন জরুরি এিপুরা , কাশ্মীরসহ ভারতের বিরোধীপূর্ণ বিভিন্ন রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন জরুরি এিপুরা ,কাশ্মীরসহ ভারতের বিরোধীপূর্ণ বিভিন্ন রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন জরুরি এবার বিআরটি লেইনে গুলিস্থান হয়ে গাজীপুর চলাচল করবে বিআরটিসির এসি বাস ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত অবসরপ্রাপ্ত সেনারা,ভারতের সঙ্গে আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয় অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ফ্যাসিজমের প্রেতাত্মারা এখনো অবস্থান করছে থেমে আছে গ্রেফতারের উদ্যোগ

মারধর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে


আলোকিত বার্তা:বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দানকারীদের মধ্যে অন্যতম লোকমান হোসেনকে বেদম মারধর করা হয়েছে।মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই বাংলা হলের ১০০২ নম্বর কক্ষে একদল ছাত্র এ হামলার ঘটনা ঘটায়। আন্দোলনের ৩৫তম দিন সোমবার (২৯ এপ্রিল) উপাচার্য অধ্যাপক এসএম ইমামুল হক ৪৬ দিনের ছুটি যাওয়ার একদিন পরেই এ হামলার ঘটনা ঘটে।পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্ররা তাকে উদ্ধার করে ব‌রিশাল শের-ই-বাংলা মে‌ডিকেল কলেজ (শেবা‌চিম) হাসপাতা‌লে ভর্তি করেন।লোকমান হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৩-১৪ বর্ষের শিক্ষার্থী। ববি ভিসির পদত্যাগ অথবা পূর্ণাঙ্গ মেয়াদের ছুটির দাবিতে সদ্য শেষ হওয়া আন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারীদের মধ্যে অন্যতম।

আহতাবস্থায় লোকমানকে হাসপাতালে নিয়ে আসা উদ্ধারকারীরা জানান,বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের ১০০২ নম্বর কক্ষে লোকমান হোসেন অবস্থান করছিলেন। আকস্মিকভাবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সোহেল, সালাউদ্দিন শান্ত, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের রাকিব, হাফিজ, মার্কেটিং বিভাগের রাজিব, ফিন্যান্স বিভাগের রিফাত বিন নাফিসসহ বেশ কিছু জুনিয়র ছাত্র তার কক্ষে প্রবেশ করে। এসময় তারা লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে লোকমান হোসেনকে আহত করে। এসময় কক্ষে থাকা অন্যরা লোকমান হোসেনকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলেও তাদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়।

আহত লোকমান হোসেন জানান,দুপুরে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করা ট্রেজারার অধ্যাপক ড. একেএম মাহবুব হাসানের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় অবস্থান করেন। এসময় তার সহপাঠী ছাত্রলীগের মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত জুনিয়র ছাত্রদের দিয়ে তাকে ক্যাম্পাসের বাহিরে ডাকেন। কিন্তু তিনি যাননি। এরপর বিকেলে ছাত্রাবাসে থাকাবস্থায় আকস্মিক সিফাতের সহযোগী জুনিয়র ছাত্ররা এ হামলা চালায়।

এদিকে আন্দোলনকারী অন্য শিক্ষার্থীরা জানান,সিফাত শুরু থেকেই আন্দোলনের সঙ্গে থাকলেও গত কয়েকদিন ধরে একক নেতৃত্বের আশায় নানানভাবে আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ৩/৪ জনকে শাসিয়ে আসছিলেন। যারমধ্যে লোকমান হোসেন ও শফিকুল ইসলাম অন্যতম। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে সুশীল সমাজ, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের বৈঠকে আন্দোলনকারী মূল নেতাদের প্রবেশ করতে দেয়নি সিফাত। মূলত ক্যাম্পাসে একক নেতৃত্ব বিস্তারের আশায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেছে সে।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত বলেন,একসঙ্গে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি আমরা। এখানে আমার জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য দুস্কৃতিকারীরা আমার নাম ব্যবহার করতে পারে। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

Top