ধর্মঘট স্থগিত নৌযান শ্রমিকদের
আলোকিত বার্তা:ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। সরকার নির্ধারিত কাঠামোয় বেতন দেয়াসহ ১১ দফা দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে বুধবার সকাল ৬টা থেকে তারা সারা দেশে নৌ-ধর্মঘট স্থগিত করে।শ্রম অধিদফতরের সভাকক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে মঙ্গলবার গভীর রাতে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা আসে।আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে নৌযান শ্রমিকদের নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী পূর্ণ বেতন বাস্তবায়ন করার আশ্বাসে ধর্মঘট স্থগিত করেছেন নৌযান শ্রমিকরা।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে মঙ্গলবার প্রথম প্রহর থেকে এই ধর্মঘটে সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে। ঘাটে এসে লঞ্চ না পেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। ব্যবসায়ীরাও বিপাকে পড়েন।যাত্রীবাহী লঞ্চের কর্মীদের জন্য ২০১৬ সালের ঘোষিত বেতন কাঠামোর পূর্ণ বাস্তবায়ন, সব শ্রমিকদের বিনা পয়সায় খাবারের ব্যবস্থা করা অথবা খাদ্যভাতা দেয়া, কর্মস্থলে কিংবা দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে শ্রমিকদের ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া, প্রত্যেক নৌশ্রমিককে নিয়োগপত্র দেয়া, মাস্টার পরীক্ষার সনদ দেয়া ও নবায়নে অনিয়ম বন্ধ করা, বাল্কহেডসহ সব নৌযান ও নৌপথে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি বন্ধ করা, নদীর নাব্য রক্ষা ও বয়া-বাতি স্থাপন করার মতো দাবি রয়েছে শ্রমিকদের ১১ দফার মধ্যে।লঞ্চ মালিকরা মঙ্গলবার দুপুরে ধর্মঘট উপেক্ষা করেই লঞ্চ ছাড়ার ঘোষণা দেন। এরপর দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি লঞ্চ ঢাকা সদরঘাট ছেড়েও যায়। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়নি।এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নৌযান শ্রমিক নেতারা। এ বৈঠকে শ্রম প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও চৌধুরী আশিকুল আলম, শাহ আলমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয়, শ্রমিকদের সাতটি দাবি ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে’ সমাধান করতে হবে। বাকি চারটি দাবির বিষয়ে সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হবে।ওই সভায় ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ধর্মঘট স্থগিত করার ঘোষণা দেয় বলে শ্রম অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।