তালতলীতে ৬৭ স্কুল ভবন ঝুকিপূর্ন
মল্লিক মো জামাল,বরগুনা প্রতিনিধিঃবরগুনার তালতলীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৭টি ভবন ঝুকিপূর্ন রয়েছে। এর মধ্যে অধিক ঝুকিপুর্ন’র তালিকায় রয়েছে ৩৫টি ভবন। অধিক ঝুকিপুর্ন ভবনে শিক্ষাথর্ীদের ক্লাশ না করার সুপারিশ করা হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গত ৬ এপ্রিল উপজেলার ছোটবগী পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিম ধ্বসে পরে তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী মানসুরা বেগম (৮) নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছিল আরও ৫জন। নিহত মানসুরা উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের গেন্ডামারা গ্রামের নজির হোসেন তালুকদারের মেয়ে। এ ঘটনায় গত এক সপ্তাহে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে দফায় দফায় তদন্ত হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা থেকে নিহত ও আহত’র পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ৭এপ্রিল নিহতের পক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা ক্ষতি পূরণ দাবী করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসান তারেক পলাশ ও মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে আইনজীবী হুমায়ুন কবির হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন।
অন্যদিকে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এই ধরনের দুর্ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা এলজিইডিকে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোকে চিহ্নিত করে দ্রুত সেখানে নতুন ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।মন্ত্রীর এ নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসের এক তদন্তে জানা গেছে, এ উপজেলায়৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন রয়েছে। এর মধ্যে ৬৭টি ভবনই ঝুকিপূর্ন’র তালিকায়। ৩৫টি ভবনে ক্লাশ না করা সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। বাকী ৩২টি ভবন জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করা না হলে তাও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পরবে বলে কমিটির ধারনা।