জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে ভবনের তথ্য
আলোকিত বার্তা:রাজধানীর সব বহুতল ভবনের সার্বিক তথ্য নিয়ে জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, সোমবার থেকে ২৪টি টিম অভিযান চালাবে রাজধানীর ভবনগুলোতে।প্রতিদিন বিল্ডিং নির্মাণ বিষয়ে সব ধরনের রিপোর্ট রাজউককে মনিটরিং করতে হবে। এছাড়া এফআর টাওয়ারের সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজউককে ঢেলে সাজানো হবে।রবিবার বনানীর ১৭ নম্বর রোডের এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এবং ঢাকা শহরের বিদ্যমান ভবনগুলো বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আশু করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে রাজউক অডিটোরিয়ামে এক দিক নির্দেশনামূলক সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী এসব কথা বলেন।এসময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, রাজউকের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান,গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, আমাদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হওয়ার পর আমরা এটি জনসম্মুখে জাতীয় পত্রিকায় টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন আকারে দরকার হয় প্রকাশ করবো। কারণ দেশের মানুষের জানা দরকার অর্থলোভী মানুষরূপী যারা এভাবে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করে জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করেনি তাদের চেহারা দেশবাসীর দেখা উচিৎ।
তিনি বলেন, যেসব ভবনে পরিকল্পনা নকশা অনুযায়ী করা হয়নি সেসব ভবনের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। নিয়মের বাইরে যেসব থাকবে সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে ১৯৯৬ থেকে ২০০৮ এর আগের সময়ের অবস্থায় অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা বা গ্যারেজ রাখার কোনো বিধান ছিল না, সেসব ভবনের জন্য নতুন করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, বিল্ডিংয়ের কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আমরা শুধুমাত্র বিল্ডিং মালিক এবং ডেভেলপার কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতাম আগে। কিন্তু এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবো।তিনি বলেন,প্রতিটি ভবন যারা ব্যবহার করবেন তারা ভাড়াটিয়া হিসেবে বা সেখানকার মানুষ হিসেবে আগে দেখে নিতে হবে যে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আছে কিনা। অতিরিক্ত সিঁড়ি লাগানো আছে কিনা বা সব কিছু মেনে বিল্ডিং করা হয়েছে কিনা, যদি এসব নিয়ম মেনে না করা হয় তাহলে আপনি সেই ভবনটি ব্যবহার করবেন না।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শ. ম. রেজাউল করিম বলেন,আদালত নতুনভাবে সময় না দিলে নির্দিষ্ট সময় পরে বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলা হবে। এছাড়া পহেলা মে থেকে রাজউকের সব সেবা ডিজিটালাইজেশন হবে এর মাধ্যমে জনগণের ভোগান্তি দূর হবে এবং জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।