তারেকের স্থান কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত আসামি
আলোকিত বার্তা:বিএনপির দণ্ডপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফেরত দিতে ব্রিটেনের কাছে অনুরোধ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।তিনি বলেন,তারেক রহমান বাংলাদেশের আদালত থেকে দণ্ডিত। তিনি একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তার স্থান কারাগারে। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কারাগারে না থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন। তাই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চায় সরকার।
রাজধানীর গুলশানে বুধবার আইনমন্ত্রীর বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসনের মাধ্যমে দেশটির প্রতি এ অনুরোধ জানান তিনি।আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আদালতে দণ্ডিত আসামি তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে আছে, আমরা তাকে দুটি কারণে ফেরত চাই। প্রথমত, তারেক একজন দণ্ডিত অপরাধী। তিনি বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পেলে তার মতো দণ্ডিত বহু আসামি ভবিষ্যতে লন্ডনে আশ্রয় নিতে পারে। এটা একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে।দ্বিতীয়ত, আমাদের আদালত একজন অপরাধীকে শাস্তি দিয়েছে। আদালত শাস্তি দেয়ার পরে সেই অপরাধীর একমাত্র জায়গা হচ্ছে কারাগার। সে কেন বিদেশে থাকবে? এই দুটো কারণে আমরা তারেক রহমানকে ফেরত চাই।তিনি বলেন,যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পকে রয়েছে, তাতে আমি মনে করি ব্রিটিশ হাই কমিশনার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাতে তারেক সমস্যার সমাধান হবে।এর উত্তরে রবার্ট ডিকসন বলেন, তারেক জিয়া কোন আইনি পন্থায় ব্রিটেনে অবস্থান করছেন, তা নিয়ে লন্ডনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করবো।তিনি বলেন, তবে তারেক জিয়াকে ফেরত দেয়া অনেক দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। কারণ যুক্তরাজ্যেও বিচার ব্যবস্থায় আইনগত অনেক বিষয় আছে, সেখানে আপিল করলে বিষয়টি অনেক সময় লাগবে। তারেক রহমান ইস্যুতে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক আছে, সেটা কোনো ভাবেই ক্ষুণ্ন হবে না।
কানাডায় অবস্থানকারী বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা নূর চৌধুরীর বিষয়ে কানাডার মিনিস্ট্রি অব ইমিগ্রেশন, রিফিউজি অ্যান্ড সিটিজেনশিপের কাছে তথ্য চেয়েছিলাম, তারা দেয়নি। তথ্য না দেয়ার কারণে আমরা আদালতে গিয়েছি।তিনি বলেন,২৫ মার্চ এ বিষয়ে একটি শুনানি হয়েছে। বাংলাদেশের আইনজীবী বক্তব্য দিয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল অব কানাডার পক্ষে আইনজীবী বক্তব্য দিয়েছেন। আমি শুনেছি নূর চৌধুরীর আইনজীবীও বক্তব্য দিয়েছেন। আদালত শুনেছেন এবং পরে রায় দেবেন বলে জানিয়েছেন।২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সে অনুসারে একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছি। এ বিষয়টিও বৈঠককালে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।