বনমোরগ দেখতে খুবই সুন্দর। মুরগিরা আকারে একটু ছোট। মোরগ দেখতে বেশি সুন্দর। খুব চালাক পাখি এরা। - Alokitobarta
আজ : সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংক একীভূত করা থেকে পিছু হটছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি'র বেনাপোল শাখা কমিটির অনুমোদন বেশ কয়েকটি আসনে স্বতন্ত্র সংসদ-সদস্যের ক্ষমতার কাছে অসহায় তারা সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এমন উদ্যোগ দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর দুর্দশাগ্রস্ত সম্পদের তথ্য প্রকাশ করতে হবে দেশের আবহাওয়ায় বিরাজ করছে মরুভূমির তাপ,বৃষ্টির বাতাস সরে গেছে চীনের দিকে আকাশে বুলেট-বারুদের ধোঁয়া,ঘুম থেকে উঠলেই সাইরেনের শব্দ তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক ব্যাংক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ গণমাধ্যমে প্রচারিত খবর সঠিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না,জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে

বনমোরগ দেখতে খুবই সুন্দর। মুরগিরা আকারে একটু ছোট। মোরগ দেখতে বেশি সুন্দর। খুব চালাক পাখি এরা।


আলোকিত বার্তা:বনমোরগ দেখতে খুবই সুন্দর। মুরগিরা আকারে একটু ছোট। মোরগ দেখতে বেশি সুন্দর। খুব চালাক পাখি এরা। বাংলাদেশের সুন্দরবন ও পাহাড়ি বিভিন্ন বনে সংখ্যায় কমলেও দেখা যায় এখনও।এদের মাথায় চমৎকার খাঁজকাটা ফুল। গলার নিচের থলতলে চামড়া, চোখের চারপাশ, বোজানো অবস্থায় ডানা, যেখানে লেজের গোড়ায় শেষ হয়েছে সেখানটাসহ পিঠের কিছু অংশের রং সোনালি-লাল বা সোনালি হলুদ। কান সাদাটে। ঠোঁট থেকে চোখের নিচ দিয়ে চওড়া কালচে-কমলা টান কানের গোড়ায় এসে মিশেছে। মাথার পেছন দিকের চমৎকার পেলব পালকগুলোর রং হলুদাভ-সোনালি। ঘাড়-গলার বাহারি পালকের রং একই রকম। পিঠ-বুক কালো। পায়ের রং ঘন বাদামি। নখ ছুরির মতো ধারালো। এদের লেজের গড়ন আরও সুন্দর।মুরগিবনমোরগের ইংরেজি নাম Red Jungle Fowl। বৈজ্ঞানিক নাম Gallus Gallus। শরীরের মাপ ৬০-৭০ সেন্টিমিটার। মুরগির মাপ ৪০-৫০ সেন্টিমিটার। এদের গড়ন পোষা মোরগের চেয়ে একটু লম্বাটে। এই বনমোর-মুরগি হলো পৃথিবীর সব ধরনের পোষা মোরগ-মুরগির আদি বাবা-মা। বাংলাদেশের সুন্দরবন ও পাহাড়ি সব বনে এদের দেখা যায়।

এদের খাদ্যতালিকায় আছে কচি ঘাস-পাতার ডগা, যে কোনো ধরনের শস্যদানা, পোকা-পতঙ্গ, ছোট মাছ ও ব্যাঙ, নির্বিষ ও বিষধর ছোট সাপ, কেঁচো, ছোট কাঁকড়া, অঞ্জন, টিকটিকি, কাঁচা মরিচ, কচি বেগুন ইত্যাদি।বনমোরগসুন্দরবনে এরা বাসা বানায় ঘাস, শুকনো কেয়া পাতা, গোলপাতা দিয়ে। দলবেঁধে চলাফেরা করে। এদের শিকার করা খুবই কঠিন। অত্যন্ত চালাক এবং বুদ্ধিমান এরা। মাটিতে বুক-পেট ঠেকিয়ে ঝোপঝাড়ের তলায় বা গাছের আড়ালে আত্মগোপন করতে ওস্তাদ। যেন ভালো দৌড়াতে পারে তেমন পারে উড়তে।

বাচ্চাসহ মুরগিকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
১. বনমুরগির বাচ্চা ধরে পোষ মানানো যায় না। কিছুই খায় না। সুযোগ পেলেই পালায়।
২. পোষা মুরগির মতো বনমুরগিও বাসা করার পর ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার আগে ডাকাডাকি করে, একাই ডিমে তা দেয়। তা দেওয়ার সময় মুরগির শরীর ফুলে থাকে, মেজাজ থাকে খারাপ।
৩. বিপদ দেখলে সংকেত দিতে এরা ওস্তাদ। খুব ভোর, নির্জন দুপুর আর সন্ধ্যায় ডাকাডাকি করে। রাত কাটায় বাঁশঝাড় বা গাছের ডালে।
৪. তিন-চার দিনে এরা বাসা সাজায়। প্রতিদিন একটি করে ডিম পাড়ে। মোট পাড়ে ৫-৬টি ডিম। ১৯-২০ দিনে বাচ্চা ফোটে। সব বাচ্চা ফুটলে বাসা ছেড়ে দেয়, আর ফেরে না।

Top
%d bloggers like this: