বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ‘প্রতিবেশী কূটনীতির’ রোল মডেল বলে অভিহিত - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর দুর্দশাগ্রস্ত সম্পদের তথ্য প্রকাশ করতে হবে দেশের আবহাওয়ায় বিরাজ করছে মরুভূমির তাপ,বৃষ্টির বাতাস সরে গেছে চীনের দিকে আকাশে বুলেট-বারুদের ধোঁয়া,ঘুম থেকে উঠলেই সাইরেনের শব্দ তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক ব্যাংক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ গণমাধ্যমে প্রচারিত খবর সঠিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না,জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের উন্নতি হয়নি দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান না দেখালে তা শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসাবেই গণ্য করা হবে শহর, বন্দর, গ্রাম-সব জায়গায় গ্রীষ্মের রুদ্ররোদ গ্যাসের মূল্য ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে,বেড়েছে বিদ্যুতের মূল্যও প্রতিটি ধাপেই ভোটের দিন পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে-এমন আশঙ্কা

বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ‘প্রতিবেশী কূটনীতির’ রোল মডেল বলে অভিহিত


এবি সিদ্দিক ভুঁইয়া:বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ‘প্রতিবেশী কূটনীতির’ রোল মডেল বলে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ ও ভারত বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় দুদেশ অনেক অমীমাংসিত ইস্যু সমাধান করেছে।দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একমত হওয়ার কথা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দুদেশের এবং আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা চালাতে আমরা একমত হয়েছি।যদি বাংলাদেশ এবং ভারত অংশীদার হিসাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে তবে তা শুধু দুদেশের জন্যই নয় এ অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।মঙ্গলবার নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।নির্ধারিত সময়ের পরও দুই নেতার একান্ত বৈঠকের জন্য নির্ধারিত ছিল ভারতীয় সময় বেলা ১১টা ৩৫ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু এর চেয়েও আরও কিছু বেশি সময় ধরে চলে বৈঠক।পরে তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন। সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সহযোগিতার বিষয়ে আমরা জোর দিয়েছি।যারা আমাদের পারস্পরিক বিশ্বাসকে আঘাত করতে চায় সে ধরনের শক্তিকে ১৯৭১ সালের আদর্শকে জীবন্ত রেখে সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করা জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন।ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এশিয়ার মধ্যে ভারতের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার বাংলাদেশ। এই অগ্রগতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে দ্বিপক্ষীয় সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সেপা) করার আলোচনা দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করতে চান তারা। এ বৈঠকে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, রোহিঙ্গা সমস্যা, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার প্রতিরোধে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।এছাড়া বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ এশিয়ার দুই নিকট প্রতিবেশী দেশের শীর্ষ পর্যায়ের এ সফরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।দুই নেতার একান্ত বৈঠক এবং দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দুদেশের মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদ্বীপ ধনখড় এবং পরে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হোটেল কক্ষে সাক্ষাৎ করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।এর আগে ৪ দিনের সফরে সোমবার নয়াদিল্লি আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একদিন পর মঙ্গলবার দুই প্রধানমন্ত্রীর দেখা হয়। এদিনের কর্মসূচির শুরুতে সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনারের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানানো হয়। শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রপতি ভবনের ফোরকোর্টে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদি। এখানে দুই প্রধানমন্ত্রী করমর্দন করেন এবং ছবি তোলেন।

রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষীদের একটি অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রপতি ভবনের গেট থেকে ফোরকোর্ট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর মোটর শোভাযাত্রাকে এসকর্ট করে এগিয়ে নিয়ে যায়। পরে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।এ সময় দুদেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এরপর শেখ হাসিনা গার্ড পরিদর্শন এবং সালাম গ্রহণ করেন। এরপর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী প্রেজেন্টেশন লাইনে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের পরিচয় করিয়ে দেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার সফরসঙ্গীদের পরিচয় করিয়ে দেন।রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের বন্ধু। দুদেশ পরস্পরকে সহযোগিতা করছি। বন্ধুত্বের মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে।রাষ্ট্রপতি ভবনের আনুষ্ঠানিকতার পর শেখ হাসিনা রাজঘাটে গান্ধীর সমাধিস্থলে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান, পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সেখানে তিনি দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে একটি উপহার দেন স্মৃতিসৌধের সচিব।

Top
%d bloggers like this: