দায় এড়াতে পারে না জাতিসংঘ’রোহিঙ্গা সংকটের - Alokitobarta
আজ : রবিবার, ২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
২০টি ব্যাংক থেকে ৩৩ কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ আগামী তিনদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ ঝড় বৃষ্টি হতে পারে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা যাতে আবার ফিরে আসতে না পারে সেজন্য কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করা বৈষম্য ও শোষণের শিকল ছিঁড়ে বারবার গণমানুষকে মুক্তি দিয়েছে দেশের তরুণরাই নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কোনো কারণ নেই দেশের সব সাংবাদিকের জন্য বেতন ৩০ হাজার অথবা ৪০ হাজার-ই হোক এর নিচে নামা যাবে না নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস উল্টে খাদে, আহত ১০ প্রশাসনের শীর্ষ পদে রেকর্ড চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ,১২ সচিব ওএসডি ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগী এসপিরা এখনো আছেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ব্যাংক লুটের টাকা ৪ দেশে পাচার,নজিরবিহীন জালিয়াতির তথ্য বেরিয়ে আসছে

দায় এড়াতে পারে না জাতিসংঘ’রোহিঙ্গা সংকটের


আলোকিত বার্তা:জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ রোহিঙ্গা সংকটের দায় এড়াতে পারে না বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।তিনি বলেন, স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং মর্যাদার সাথে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবাসন এবং এই সহিংসতার জন্য দোষীদের বিচার করার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ দায় এড়াতে পারে না।

সম্প্রতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘সংঘাতময় পরিস্থিতিতে যৌন সহিংসতা’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক উন্মুক্ত আলোচনায় এ কথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।শুক্রবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা সংকটে সৃষ্ট যৌন সহিংসতার মতো অন্যায় করে পার পেয়ে যাওয়ার যে সংস্কৃতি বিশ্ব অবলোকন করে যাচ্ছে, সে প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, সকল অপরাধের সমাপ্তি ঘটানো না গেলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে না।তিনি বলেন,আর এই অপরাধসমূহের দায় নির্ধারণ ও বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমেই কেবল রোহিঙ্গাদের আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব, যা তাদেরকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে উৎসাহিত করবে, কিন্তু এখন পর্যন্ত এটি বাস্তবায়িত হয়নি।রাষ্ট্রদূত মাসুদ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি প্রশ্ন রাখেন, আপনারা কি প্রত্যাশা করেন এই রোহিঙ্গারা বিশেষ করে অবর্ণনীয় যৌন সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গা নারী ও মেয়েরা তাদের ওপর আর কোনো সহিংসতা হবে না’ এরকম স্পষ্ট নিশ্চয়তা ছাড়া স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যাবে?

শুধু যুদ্ধের অস্ত্র ও কৌশল হিসেবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মা-বোনেরা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর যে অবর্ণনীয় যৌন সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন, সেই ভয়াল স্মৃতির কথা তুলে ধরেন স্থায়ী প্রতিনিধি।এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেই একই অবস্থার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে রোহিঙ্গা সংকটের ক্ষেত্রে। ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ এর হিসাব অনুযায়ী, সহিংস যৌন নির্যাতনের ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ২০১৮ সালে প্রায় চার হাজার শিশু ভূমিষ্ট হয়েছে, তাদের গ্রহণ করতে মা পর্যন্ত অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। এসকল শিশুদের স্বীকৃতি, ক্ষতিপূরণ এবং নিজ দেশ মিয়ানমারে ভালো ভবিষ্যত নিশ্চিত করার বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই আমলে নিতে হবে।উন্মুক্ত আলোচনায় আরো বক্তব্য দেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ, জাতিসংঘ মহাসচিবের যৌন সহিংসতা রোধ বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি প্রমিলা প্যাটেন, ২০১৮ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. ডেনিস মুখউইজি ও নাদিয়া মুরাদ এবং ব্যারিস্টার আমাল ক্লুনি।নিরাপত্তা পরিষদের চলতি এপ্রিল মাসের সভাপতি জার্মানি এই উচ্চ পর্যায়ের উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে।

Top