হজ ইসলামের অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি ফরজ ইবাদত - Alokitobarta
আজ : সোমবার, ৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের ১০ জেলায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে নিয়ন্ত্রণ ঠিকাদারের হাতে,সোয়া ১২ কোটি ভোটারের তথ্যভান্ডার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নীতি সুদের হার বাড়িয়েই চলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিরোধহীন হারে শুরু বাংলাদেশের সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে শিশুদের সুন্দর বিকাশ নিশ্চিত করতে সবার প্রতি আহ্বান মানবিক ও সুন্দর বিশ্ব গড়তে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের বিকল্প নেই অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৩০ কর্মকর্তাকে বদলি দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণও লাফিয়ে বাড়ছে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান গ্রেফতার

হজ ইসলামের অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি ফরজ ইবাদত


মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া :হজ ইসলামের অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি ফরজ ইবাদত। যা পালন করার উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে অসংখ্য মানুষ জমায়েত হয় কাবা শরিফের চার পাশে।এ হজব্রত পালন করার জন্য প্রতিটি মুসলমান উদগ্রীব থাকে এবং সৌভাগ্যবান ব্যক্তিরা চরম আবেগ ও ব্যাকুলতা নিয়ে মক্কার তীর্থভূমিতে আগমন করে। উদ্দেশ্য, করুণাময় মহান প্রতিপালকের দান ও ইহসানে ধন্য হওয়া, পুরস্কার ও প্রতিদানে কৃতার্থ হওয়া। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে অনেকে খালি হাতে যায়, আবার খালি হাতেই ফিরে আসে। প্রাপ্তির ঝুলিতে কিছুই পড়ে না।এর কারণ কী? বহু কারণের অন্যতম কারণ হচ্ছে- অবশ্যপূরণীয় অনিবার্য শর্ত তথা পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই হজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যাওয়া। তাই আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে হজে বায়তুল্লাহর জন্য কবুল করেছেন তাদের উচিত সফরে রওনা হওয়ার আগেই হজের প্রতি ঐকান্তিক হওয়া এবং সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা।

মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি : সার্বিক প্রস্তুতির একটি অংশ হচ্ছে, মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা এবং এ কথা মাথায় রাখা যে, সফল ও সুন্দরভাবে হজ পালন করা একটি শ্রমনির্ভর ও কষ্টসাধ্য বিষয়। ওমরার তাওয়াফ, সাঈ, মিনা, জামারায় পাথর মারা, মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে হজের তাওয়াফ, সাঈ ইত্যাদি কার্য সম্পাদন করতে প্রচুর হাঁটাচলা করতে হয়। চাইলে যখন তখন যানবাহন পাওয়া যায় না। থাকা-খাওয়ার জন্যও বহু সমস্যা ও পেরেশানির মুখোমুখি হতে হয়। ইহরাম বাঁধার পর আর মুক্ত স্বাধীনভাবে চলাফেরা করা যায় না এবং অভ্যস্ত ও নিয়মিত ক্রিয়াকলাপও সম্পাদন করা যায় না; বরং বহু অভ্যস্ত বিষয় পরিহার করে অনভ্যস্ত বিষয় করতে হয় এবং নতুন নতুন কাজ আঞ্জাম দিতে হয়। তাই হজের যাবতীয় অনুষ্ঠান ও আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি থাকতে হবে এবং সুস্থ-সবল শরীরে গন্তব্যে রওনা হতে হবে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘হজের নির্দিষ্ট কয়েকটি মাস আছে। যে ব্যক্তি সেসব মাসে (ইহরাম বেঁধে) নিজের ওপর হজ অবধারিত করে নেয়, সে হজের সময়ে কোনো অশ্লীল কথা বলবে না, কোনো গুনাহ করবে না এবং ঝগড়াও নয়।’ রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্যে হজ করবে এবং পাপেরকথা ও কাজ থেকে বিরত থাকবে সে ওই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে যে দিন সে জন্মগ্রহণ করেছিল।’ (বুখারি-১৫২১)

Top