ডিজিটাল সাংবাদিক হওয়ার জন্য কী ধরণের শিক্ষার প্রয়োজন আছে ?ডিজিটাল সাংবাদিকতা কী ? - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
দেশের আবহাওয়ায় বিরাজ করছে মরুভূমির তাপ,বৃষ্টির বাতাস সরে গেছে চীনের দিকে আকাশে বুলেট-বারুদের ধোঁয়া,ঘুম থেকে উঠলেই সাইরেনের শব্দ তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক ব্যাংক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ গণমাধ্যমে প্রচারিত খবর সঠিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না,জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের উন্নতি হয়নি দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান না দেখালে তা শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসাবেই গণ্য করা হবে শহর, বন্দর, গ্রাম-সব জায়গায় গ্রীষ্মের রুদ্ররোদ গ্যাসের মূল্য ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে,বেড়েছে বিদ্যুতের মূল্যও প্রতিটি ধাপেই ভোটের দিন পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে-এমন আশঙ্কা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীর ‘স্বজন’ নিয়ে জটিলতা আওয়ামী লীগে

ডিজিটাল সাংবাদিক হওয়ার জন্য কী ধরণের শিক্ষার প্রয়োজন আছে ?ডিজিটাল সাংবাদিকতা কী ?


মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া:ডিজিটাল সাংবাদিকতা অর্থাৎ ডিজিটাল জার্নালিজম। বাংলা কথাটার তুলনায় ইংরেজিটা অনেক বেশি কানে শোনা। যাইহোক, ডিজিটাল শব্দটি শুনেই বোঝা যায়, বিষয়টার সঙ্গে কম্পিউটার আর ইন্টারনেটের যোগ রয়েছে।তার আগে সংক্ষেপে সাংবাদিকতা সম্পর্কে আলোচনা করে নিই। যাঁরা খবর সংগ্রহ করেন তাঁদের প্রতিবেদক অর্থাৎ রিপোর্টার বলা হয়। যাঁরা কোনও বিশেষ স্থানে অফিস কর্তৃক নিযুক্ত থাকেন বা যাঁদের কোনও বিশেষ ইভেন্টে সাময়িকভাবে পাঠানো হয় খবর পাঠানোর জন্য, তাঁকে বিশেষ সংবাদদাতা বা স্পেশাল কোরেসপন্ডেন্ট আর যিনি অফিসে বসে সমস্ত কপি পরিমার্জিত করেন ও সংবাদসংস্থা থেকে পাঠানো কপি লেখেন, তাঁকে ডেস্ক পার্সন বলা হয়। সংবাদপত্রের ক্ষেত্রে এই ডেস্ক পার্সন সাব-এডিটর বা অবর-সম্পাদক বলে পরিচিত। ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া বা বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে এই পদের নাম কপি এডিটর।রেডিও বা বেতার মাধ্যম ছাড়া বাকি সব জায়গাতেই ছবির একটা আলাদা চাহিদা ও গুরুত্ব রয়েছে। প্রিন্ট মিডিয়া অর্থাৎ সংবাদপত্রে ছবির যোগান দেন ফটোগ্রাফার আর টিভি ও ইন্টারনেট বেসড ভিজুয়াল মিডিয়ায় ভিডিও এবং ছবির যোগান দেন ক্যামেরা ম্যান। আলাদা আলাদা পরিচিতি থাকলেও, সবাইকে একত্রে বলা হয় ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট, অর্থাৎ কর্মরত সাংবাদিক। এই জন্য সংবাদ মাধ্যম এবং সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে আইন রয়েছে, তাকে ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট অ্য়াক্ট বলা হয়। সোজা ভাষায় সংবাদ পরিবেশনার সঙ্গে যিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত, তাঁর পরিচিতি একজন কর্মরত সাংবাদিক হিসেবে। এই পরিবারের সদস্য তিনিও, যিনি রেডিওতে এবং টিভিতে খবর পড়ছেন।
সাংবাদিকতার জগতের প্রথম মাধ্যম হলো সংবাদপত্র, তারপর আসে রেডিও। আর এদেরকে হটিয়ে জায়গা করে নেয় টিভি সাংবাদিকতা। ক্রমশ অগ্রগতির পথ ধরে আজ সাংবাদিকতা ডিজিটাল হয়ে পড়েছে। সংবাদপত্রের যুগে মানুষ আরও কিছু চাইছিল, সেই চাহিদাটা পূরণ করেছে রেডিও এবং টিভি। বর্তমানে মানুষের হাতে সময় নেই, তবে হাতে আছে ডিভাইস। ল্য়াপটপ থেকে ট্যাব আর ফ্যাবলেট। ইন্টারনেট জলের দরে সহজলভ্য হয়ে ওঠায়, এখন আর খিদে পেটে রেখে নেট ব্যালেন্স বাঁচাতে হয় না। হাতে থাকা ডিভাইসে ইন্টারনেটের কল্যাণে য়খন সারা দুনিয়া করায়ত্ত, তখন সংবাদ কি করে নাগালের বাইরে থাকে।

ডিজিটাল সাংবাদিকতা হলো অনলাইন সাংবাদিকতা। মানে ওয়েব পোর্টাল, অর্থাৎ নিউজ বেসড বা খবর সরবরাহকারী ওয়েবসাইটে সাংবাদিকতা করা। রেডিও বাদে প্রিন্ট মিডিয়া, টেলিভিশন চ্যানেলের মতো এখানেও সাংবাদিকতার স্ট্রাকচার কম-বেশি একইরকম। বরং, অনেকটাই টেলিভিশন ঘেঁষা। প্রিন্ট মিডিয়ার কথা বললেও, এতক্ষণ সাময়িকি অর্থাৎ ম্যাগাজিনের কথা বলিনি। তার কারণ হলো – ম্যাগাজিন রোজ বেরোয় না, মানে দৈনিক নয়। আর এখানেও কাজের চাপেরও হেরফের রয়েছে। তবে, ট্যাবলয়েড পুরোপুরি প্রিন্ট মিডিয়া ঘেঁষা।ফিরে আসি ডিজিটাল সাংবাদিকতার কথায়। ওয়েব পোর্টাল বা অনলাইন নিউজের চাহিদা বছর পাঁচ-ছয়েক হলো খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ, মানুষের হাতে আজ সময় নেই। আর সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মানুষ গন্তব্যস্থলে যাতায়াতের সময় হাতে থাকা ডিভাইসে খবর দেখে আপডেটেড থাকতে ভালোবাসেন। আগামী দিনে এই ধরণের মিডিয়াই রাজত্ব করবে।ডিজিটাল মিডিয়া সম্পর্কে অনেকে আবার নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। তার কারণও আছে। কারণ, এখানে যে খবরটি পরিবেশিত হয়, তার ওপর কোনও রকম নিয়ন্ত্রণ থাকে না। যেটা আর কি স্বচ্ছ সাংবাদিকতার নীতিবিরুদ্ধ। যে কোনও সময় যে কোনও খবর ভাইরাল হয়ে পড়ে – খবরের সত্যতা থাকুক বা না থাকুক।

ভবিষ্যৎ যেহেতু ডিজিটাল সাংবাদিকতা, তাই সাংবাদিকতা পেশায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক কোনও ব্যক্তি ডিজিটাল সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারেন এবং দেখতে হবেও। ডিজিটাল সাংবাদিকতায় প্রবেশ করার জন্য কোনও আলাদা কিছু শিক্ষার দরকার পড়ে না। বর্তমান দুনিয়ায় কম্পিউটারে ব্যবহারে সবাই কম-বেশি দক্ষ। ইন্টারনেট ব্যবহার জলভাত। জার্নালিজমে ডিগ্রি যেমন দরকার, তেমনই এই পেশায় সফল হওয়ার জন্য খবরের নাক থাকা আবশ্যিক। সঙ্গে প্রয়োজন শেখার ইচ্ছা এবং এই পেশার প্রতি গভীর আগ্রহ ও শ্রদ্ধা। আর যেটা মাথায় রাখতে হয়, সেটা হলো যে কোনও খবর অনলাইনে ছাড়ার আগে নিজে সেই খবরের সত্যতা সম্বন্ধে দ্বিতীয়বার নিশ্চিত হয়ে নেওয়া। কারণ, ভুল লিখুন বা ঠিক, আপনার দেওয়া খবর কিন্তু পড়ার জন্য হাজারো নয়, লাখো লাখো পাঠক বসে রয়েছেন। একজন সাংবাদিকের ধর্ম হলো খবরের সত্যতা। তা সে যতই তিক্ত হোক না কেন।অত্যন্ত মনোযোগ দেওয়া জরুরি – যিনি যে ভাষায় সাংবাদিকতা করবেন, তাঁকে সেই ভাষাটি ভালোভাবে জানতে হবে। মানুষ মাত্রই ভুল হয়। কিন্তু, যাঁর হাতে গুরুদায়িত্ব, তাঁকে সংশ্লিষ্ট ভাষার বানান, ব্যাকরণ ও সঠিক শব্দ প্রয়োগ করতে জানতেই হবে।

মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া
ঢাকা মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাব-এ সভাপতি।
বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র ও সাংবাদিক ইউনিয়ন-এ এ কেন্দ্রীয় সভাপতি।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটি-এ যুগ্ন মহাসচিব কেন্দ্রীয় কমিটি ঢাকা।
বাংলাদেশ সাংবাদিক ও সংবাদপত্র ঐক্য পরিষদ-এ এর কেন্দ্রীয় কমিটি-এ সাধারন সম্পাদক।
বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক কল্যাণ ইউনিয়ন-এ এ এর কেন্দ্রীয় কমিটি যুগ্ন সাধারন সম্পাদক।
বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ-এ রিশাল বিভাগীয়-সাধারন সম্পাদক।
আলোকিত বার্তা-এ প্রকাশক ও সম্পাদক
বিডিবার্তা২৪.নিউজ-এ সম্পাদক

Top
%d bloggers like this: