উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মোটর পানির সংকট নিরসনে বিসিসিতে
আলোকিত বার্তা:বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) বেশ কিছু পাম্প হাউজে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পানি উত্তোলনের মেশিন (মোটর) বসানো হয়েছে।এর ফলে শহরের যেসব এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছিল তা শুক্রবার (১৭ মে) থেকে নিরসন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিসিসি কর্তৃপক্ষ।পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ওয়াটার ট্যাংকের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণভাবে শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ হতো, তার পরিমাণও বাড়নো হচ্ছে আজ থেকে।
বিসিসি সূত্রে জানা গেছে, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র উদ্যোগে শহরের বোর্ড অফিস, সূরেন্দ্র ভবন ও রূপাতলী পানির পাম্প হাউজে পুরাতন মোটর সরিয়ে ৩০ হর্স পাওয়ারের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন মোটর সংযোজন করা হয়েছে।যা থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৭০-৮০ হাজার লিটার পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে আরো দু’টি ২৫ হর্স পাওয়ার সম্পন্ন পানি উত্তোলনের মেশিন (মোটর) সংরক্ষণে রাখা হয়েছে। এর ফলে কোনো মোটরে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে এ মোটর ব্যবহার করে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
অপরদিকে তিন রমজান থেকে নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহের জন্য সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ওয়াটার ট্যাংকের মাধ্যমে প্রতিদিন বরিশাল শহরের বিভিন্ন এলাকায় ১৫ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি দেওয়া হচ্ছিল। তবে এভাবে এখন থেকে ১০ হাজার লিটার বাড়িয়ে ২৫ হাজার লিটার পানি শহরবাসীর জন্য সরবরাহ করা হবে। এদিকে,শহরবাসীর সাময়িক কষ্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মেয়র জানান,প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দ্রুততার সঙ্গে এ সমস্যা লাঘব করার চেষ্টা চলছে।তবে প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,বরিশাল শহরে প্রতিদিন এক কোটি ২০ লাখ গ্যালন পানির প্রয়োজন। স্বাভাবিক সময়ে বিশুদ্ধ পানির সংকটের বিষয়টি সামনে না এলেও প্রতিবছর গরমের সময় বিশেষ করে চৈত্র মাস থেকে সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।খাল,পুকুর ও নদী ভরাট এবং ভূগর্ভের পানির যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে এ সময়টায় বরিশালে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যায়। এমনকি বর্তমান সময়ে যাদের ব্যক্তিগত গভীর নলকূপ রয়েছে,তারাও পানির সংকটে পড়েন। শহরের অনেক জায়গায় শত চেষ্টা করে মোটর চালিয়েও পানি সরবরাহ করতে পারেন না বাসিন্দারা। আবার বিগত কয়েক বছর ধরেই গরমের এ সময়ে নানান কারণে সিটি করপোরেশনও শহরবাসীকে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ দিতে পারে না। পানির সংকট নিরসনে বিগত মেয়রের সময়কালে শহরের দুই প্রান্তে দু’টি সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ করা হয়। যদিও কার্যত এ দু’টি এখনো শহরবাসীকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারেনি।তবে বর্তমান পরিষদ যত্রতত্র গভীর নলকূপ স্থাপনে কঠোরতা প্রয়োগের পাশাপাশি বিসিসি কর্তৃপক্ষের নিজস্ব পাম্প হাউজগুলো থেকে পানি সরবরাহের পরিমাণ বাড়ানোর কার্যক্রম হাতে নেয়।