নিঃশেষ হয়ে যায়নি বিএনপি
আলোকিত বার্তা:বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সরকার খালেদা জিয়াকে আটক রেখেছে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বিএনপি আবারও ঘুরে দাঁড়াবে। তিনি নেতাকর্মীদের হতাশ না হয়ে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানিয়েছেন।শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সংগ্রামী জীবন ও কর্ম নিয়ে লেখা বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।খালেদা জিয়া: তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠস্বর’ শিরোনামে বইটি লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ ও কবি আবদুল হাই শিকদার। বইটির প্রকাশনা উৎসবের আয়োজক শত নাগরিক কমিটি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বারবার চেষ্টা করেছে বিএনপিকে ভেঙে ফেলার। বারবার চেষ্টা হয়েছে নিশ্চিহ্ন করার। আজকে খালেদা জিয়া একটি মাত্র কারণে কারাগারে যে, বিএনপিকে নিঃশেষ করে দেয়া। রাজনীতিকে ধ্বংস করে দেয়া এবং খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া।দলের নেতাকর্মীদের দৃঢ় মনোবলে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হতাশ হবেন না। হতাশার কথা শুনতে চাই না। বিএনপি নিঃশেষ হয়ে যায়নি। বিএনপি অতীতেও প্রতিটি সংকটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, এবারও ঘুরে দাঁড়াবে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বিএনপি আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।’
খালেদা জিয়ার রাজনীতি মানুষের জন্য মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি এবং খালেদা জিয়া এ দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে। সে জন্য সরকার চাইলেও বিএনপিকে শেষ করতে পারবে না।দলের নেতাকর্মীদের হতাশার কথা না বলার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা কখনও হতাশ হবেন না, হতাশার কথা শুনবেন না এবং হতাশার কথা বলবেনও না। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের নেত্রী জেলে থাকুন আর বাইরে থাকুন, তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা, তিনিই নেতৃত্ব দিয়ে এ দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করবেন।মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে আমরা নববর্ষের দিন দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি এতটাই অসুস্থ যে, বিছানা থেকে উঠতে সাহায্য নিতে হয়। তারপরও তিনি এতটুকু মনোবল হারাননি। সে মনোবল নিয়েই আমাদের মাতাকে মুক্ত করতে হবে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।এ সময় প্রকাশনা উৎসবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, বইয়ের লেখক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও কবি আবদুল হাই শিকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারউল্লাহ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।