চলতি মৌসুমে হজের মাত্রাতিরিক্ত বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ

চলতি মৌসুমে হজের মাত্রাতিরিক্ত বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে


মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া :চলতি মৌসুমে হজের মাত্রাতিরিক্ত বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে হজ প্যাকেজের খরচ বেড়ে প্রায় ৭ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এ পরিমাণ খরচ করা অনেক হজযাত্রীর কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই হজের বিমান ভাড়া কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছে হাব।এ নিয়ে রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। সংগঠনটির সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম স্বাক্ষরিত এক আবেদনে এ স্মারকলিপি পাঠানো হয়।আবেদনে উল্লেখ করা হয়- এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বতন্ত্র টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া পুনঃনির্ধারণের জোর দাবি জানানো হয়েছে।যেসব হজযাত্রী ২০২৩ সালে হজে যাবেন তাদের অধিকাংশই ২০১৮ ও ২০১৯ সালে প্রাক-নিবন্ধিত হয়ে সেই সময়ের করা আর্থিক বাজেটে হজে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।কিন্তু হজযাত্রীদের অতিরিক্ত বিমান ভাড়া এবং হজ প্যাকেজের উচ্চমূল্যে ইতোমধ্যে হজযাত্রীসহ ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এ বছরের বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু তা বাস্তবতার নিরিখে অনেক বেশি ও অযৌক্তিক। যে কারণে হজ প্যাকেজ ঘোষণার পর সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য হয়নি বরং সমালোচিত হয়েছে। যেহেতু বিমান একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাই তাদের একক কর্তৃত্বে ভাড়া নির্ধারণ যথাযথ হয়নি।২০২২ সালে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল মূলত করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধে জেট ফুয়েলের মূল্য বৃদ্ধি এবং তখন করোনায় বিমানের কিছু আসন খালি রেখে ফ্লাইট পরিচালনার কারণে।পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের প্রত্যাশা ছিল, করোনাপরবর্তী বিমান ভাড়া কমতে পারে। বর্তমানে জেট ফুয়েলের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি, সৌদি আরব কোন নতুন চার্জ আরোপ করেনি, এবার বিমানের আসন খালি রেখে হজযাত্রী পরিবহণ করতে হবে না।অথচ হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ৫৭ হাজার ৭৯৭ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যাকে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা অযৌক্তিক মনে করেন এবং তাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।পবিত্র হজের সঙ্গে বাংলাদেশের মুসলমানদের আবেগ-অনুভূতি নিবিড়ভাবে জড়িত।বিষয়টি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভীষণ রকমের স্পর্শকাতরও বটে।উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বতন্ত্র টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমিয়ে হজ প্যাকেজ পুন:নির্ধারণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে সংগঠনটি।

Top
%d bloggers like this: