প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগে করণীয় নিয়ে ব্যাপক প্রচারের নির্দেশনা
আলোকিত বার্তা:প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনার মতো যে কোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলা ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচার চালানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।পাশাপাশি ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবানও জানিয়েছেন তিনি। একই সাথে তিনি এ ধরনের সংকট মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশনা দেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা মোকাবেলায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, জনগণকে জানাতে হবে এমন পরিস্থিতিতে কী কী করণীয়। সেগুলো প্রচার করতে হবে। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান করবে। আর জাতীয়ভাবে যে কোনো দুর্যোগ এলে আমাদের করণীয় নিয়ে যে নির্দেশনাগুলো আছে সেগুলো ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে।তিনি বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস সিলিন্ডার ও দাহ্য পদার্থ ব্যবহারে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
শেখ হাসিনা সবার উদ্দেশে বলেন, কে, কোথায় কাজ করেন, কী করেন, সেখানে নিরাপত্তা কতটুকু, সবাইকে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। দুর্যোগ এলে নিজেকে রক্ষায় কী কী করণীয় জানতে হবে। নিজেদের বাঁচাতে প্রস্তুতি থাকতে হবে।তিনি বলেন, কিছুদিন আগে একটা বহুতল ভবনে আগুন লেগেছিল। সেখানে দেখা গেছে, ওই ভবনে যারা কর্মরত ছিলেন তাদের মধ্যে কোনো সচেতনতা ছিল না। এমনকি সেখানে যে ফায়ার এক্সিট আছে সেটাও তারা জানতেন না।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে দুর্যোগ আসছে ঠিক, কিন্তু আমরা এটা সামাল দিচ্ছি। এতটুকু একটা দেশে ১৬ কোটি মানুষের বসবাস। পশ্চিমা দেশে যদি এরকম জনসংখ্যা হয়, তারা সামাল দিতে পারবে কিনা আমার সন্দেহ আছে।তিনি বলেন, আধুনিকায়ন মানুষকে আরাম দেয়, সুবিধা দেয়। আবার মাঝে মাঝে ঝুঁকিও সৃষ্টি করে। দুর্যোগ মোকাবেলার বিষয়টি প্রতিনিয়ত পর্যালোচনা করা এবং করণীয় নির্ধারণ করারও পরামর্শ দেন তিনি।সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আট’শ বছরের বেশি পুরনো মধ্যযুগীয় স্থাপত্য নটরডাম ক্যাথেড্রাল ধ্বংস হওয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।