সরকার ১৩ লাখ টন চাল-ধান কিনবে। প্রতি কেজি চাল ৩৬ টাকা, আতপ ৩৫ টাকা * প্রতি কেজি ধান ২৬ টাকা, গম ২৮ টাকা - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দূরদর্শী চিন্তার ফসল আমাদের বর্তমান স্মার্ট বিআরটিসি পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বাড়ানোর সুপারিশ সাংবাদিকতার নামে ছ্যামরামি করে ক্লাস ফাঁকি দেয়া,তিনি এখন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক,তখন নানা প্রশ্ন ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বারবার নীতি পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা সরকার তাদের প্রভুদের স্বার্থ রক্ষার জন্য জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপির আশায় গুড়েবালি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার্তা দিয়ে গেছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে শতভাগ অভিযোজনে যাওয়া সম্ভব না দেশে এক কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু প্রস্তুত আছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি

সরকার ১৩ লাখ টন চাল-ধান কিনবে। প্রতি কেজি চাল ৩৬ টাকা, আতপ ৩৫ টাকা * প্রতি কেজি ধান ২৬ টাকা, গম ২৮ টাকা


আলোকিত বার্তা:চলতি বোরো মৌসুমে সাড়ে ১৩ লাখ টন চাল, ধান ও গম কিনবে সরকার। এর মধ্যে শুধু চালই সাড়ে ১১ লাখ টন। যার মধ্যে ১০ লাখ টন সিদ্ধ, দেড় লাখ টন করে আতপ চাল ও ধান এবং ৫০ হাজার টন গম সংগ্রহ করা হবে।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে কেজি প্রতি ৩৬ টাকা করে চাল ও ২৬ টাকা কেজি দরে ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া আতপ চাল ৩৫ টাকা এবং ২৮ টাকা কেজি দরে গম কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি এই ধান ও গম এবং মিলারদের কাছ থেকে চাল কেনা হবে। আগামী অর্থবছর থেকে সমুদ্রে মাছ শিকার নিষিদ্ধের সময় মৎস্য আহরণকারীদের ভর্তুকি হিসেবে খাদ্যশষ্য দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

২৫ এপ্রিল থেকে সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষক যাতে বাজারের ন্যায্যমূল্য পান, সেজন্য আগস্ট পর্যন্ত চাল, ধান ও গম কেনা চলবে। ধানের উৎপাদন খরচ ৩৪-৩৫ টাকা পড়ে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাজারে যাতে ফড়িয়ারা লাভবান না হয়, সেজন্য কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা হবে। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে খাদ্যমজুদ ভালো রয়েছে। আমরা চাই কৃষক যেন নায্যমূল্য পান। বাজারে আরও থাকলে আমরা আরও কিনব।আমাদের বোরো উৎপাদন বিঘ্নিত না হলে বাইরে থেকে চাল আনতে হবে না। ২০১৭ সালে হাওরে বন্যার পর ২০১৮ সাল থেকে আর মোটা চাল আমদানি করা হয়নি। হাওরের পুরো ধান নষ্ট হলেও আগামী তিন-চার মাস আমাদের স্টক থাকবে। মন্ত্রী বলেন, এছাড়া সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী বা মৎস্যচাষিদের মৎস্য শিকার নিষিদ্ধের সময় খাদ্যের অভাব হয়। সামনের অর্থবছর থেকে তাদের একটা ইনসেনটিভ হিসেবে খাদ্য সাহায্য দেয়া হবে।

কৃষক যেন বাজারে ধান ওঠার পর নায্যমূল্য পাস, সেজন্য আগেই কত টাকা দরে সরকারিভাবে চাল-ধান কেনা হবে, সে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, চালের দাম যদি আমরা আরও বাড়াই, মিলওয়ালাদেরই লাভ হবে, কৃষক পর্যন্ত তা পৌঁছবে না। তবে দেড় লাখ টন ধান কৃষকের কাছ থেকে কেনায় এর প্রভাব বাজারে পড়বে।বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান ছাড়াও খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Top
%d bloggers like this: