বার্ধক্যজনিত কারণে এখন বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা যুবকের মতো থাকার কথা নয় - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বার্ধক্যজনিত কারণে এখন বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা যুবকের মতো থাকার কথা নয়


আলোকিত বার্তা:বার্ধক্যজনিত কারণে এখন বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা যুবকের মতো থাকার কথা নয় বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের এ কথা জানান।তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে তার দলের ও পরিবারের লোকদের সঙ্গে চিকিৎসকদের স্টেটমেন্টের কোনো মিল নেই। এখানে চিকিৎসার ব্যাপারটা তো চিকিৎসকদের। যত আপন লোকই হোক আমি চিকিৎসার কী বুঝব? চিকিৎসকদের বোর্ডে বিএনপির লোকও আছে, তারা তো বলছে না খালেদা জিয়ার অবস্থা অতটা খারাপ।বার্ধক্যজনিত কারণে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা তো যুবকের মতো থাকার কথা নয়। শারীরিক অবস্থাটা খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। চিকিৎসকরা অতটা খারাপ বলছে না, যে খারাপের কথা দলের লোকেরা বলছেন। আমাদের কাছে মনে হয়, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে বিএনপি যতটা রাজনীতি করছে, বাস্তবে তার শারীরিক অবস্থা ততটা খারাপ নয়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, বিএনপি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাজনীতি করছে। রাজনৈতিক ইস্যু খুঁজে বেড়ানোর চেষ্টা করছে।অভিযোগ এলে ব্যবস্থাআইন অনুযায়ী সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কোনো মন্ত্রী ও এমপি প্রচারণা চালাতে পারবেন না। কিন্তু কয়েকজনের বিষয়ে এমন অভিযোগ এসেছে-এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বিরত করব, কেউ ক্যাম্পেইন করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের যে রুল, যে আচরণবিধি সেটা আমরা লঙ্ঘন করতে দেব না। আমাদের দলের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটা ফ্রি, ফেয়ার ও ক্র্যাডিবল ইলেকশন করুক-এটা আমরা চাই। আমি এটা বারবার বলছি- আমরা সরকারি দল কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করব না। আমরা সহযোগিতা করব, জনগণ যাতে যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে পারে। সম্পূর্ণ নির্বাচনী আচরণবিধি আমরা মেনে চলব।’আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া কোনো কোনো কাউন্সিলরকে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে-এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা সবকিছু মূল্যায়ন করছি। আমরা যা দিয়েছি সেখানে তেমন একটা চেইঞ্জে আমরা যাইনি। কিছু কিছু জায়গায় আমরা সরেজমিনে খোঁজখবর নিয়ে, দুজন টিম লিডার আছেন-আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, তারা যে কমিটি পরিচালনা করেছেন, তারা সরেজমিনে কিছু বিষয় দেখে আমাদের পরিবর্তনের সুপারিশও করেছেন কিছু কিছু জায়গায়। সেটা আমরা করেছি। আরও দু’তিনটি জায়গায় পরিবর্তনের সুপারিশ আছে, সেটা আজ দেখছি কী করা যায়।’

এখন তো অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে জনমত জরিপে কার জয়লাভের সম্ভাবনাটা বেশি।সেটা বিবেচনা করেই আমরা দেব।বিদ্রোহী প্রার্থীদের উইথড্র করার জন্য সিটি আওয়ামী লীগের দায়িত্ব আছে, নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও এই ব্যাপারে সক্রিয় আছে।ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি অবস্থানের বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার উদ্বিগ্ন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন,আমরা চাই তারা যুদ্ধ থেকে সরে আসুক।আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন।সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছেসড়কে শৃঙ্খলার বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিআরটিএর জনবল বাড়ানো হচ্ছে। লাইসেন্সের ব্যাপারে (লাইসেন্স তৈরির প্রতিষ্ঠান নিয়োগ) টেন্ডার হয়েছিল। টেন্ডারের মধ্যে কিছু লু-ফলস ধরা পড়েছে। আমরা অন্যায়ভাবে তো একজনকে কাজ দিতে পারি না। এজন্য বিষয়টি একটু দেরি হয়েছে। আবারও লাইসেন্সের বিষয়ে টেন্ডার করতে হচ্ছে, সেটা শিগগিরই হবে।সড়ক পরিস্থিতি ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সাল খারাপ গেছে স্বীকার করে কাদের বলেন, ‘আগের কয়টা বছর ভালো ছিল, ২০১৮ সালও তুলনামূলকভাবে ডিক্রিজিং ট্রেন্ড ছিল, এই বছরটা (২০১৯) দুর্ঘটনার ট্রেন্ডটা বেড়েছে।

Top