পূর্বের অবৈধ টাকায় দুটি ভবন নিমার্ণ কাজ শেষ।বর্তমানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভবনের সংস্কারের কাজের টাকা দিয়ে ৮তলা ভবন নিমার্ন চলছে!
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘুষ দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে বিলাশী জীবন যাপন করছেন বর্তমান বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের(শেবাচিম)পরিচালক ডা.মো.বাকির হোসেন।মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চলছে ভবনের সংস্কার কাজ ? বরিশাল বগুড়া রোডের পাশে তার নিজ ৮তলা ভবনের নির্মানার্ধীন কাজ চলছে।এই ভবন নিমার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভবনের সংস্কারের কাজের টাকা দিয়ে তার নিজ ভবন নিমার্ন চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে জানাযায়,গত বছরের ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ এর পূর্বে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।এই প্রকল্পের কাজে তার বিরুদ্ধে ,কেনাকাটায় দুর্নীতি অনিয়মসহ নানা কারণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বদলী করা হয়।সেখানে বেশিদিন থাকতে পারেনি।লোবিং করে গত বছরের ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহন করেন ।
অভিযোগ উঠেছে, ঘুষ দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে বিলাশী জীবন যাপন করছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ( শেবাচিম) পরিচালক ডা.মো.বাকির হোসেন।এদুটি দায়িত্ব পালনের আগে থেকেই তার বিলাশ বহুল জীবন-যাপন। একজন পরিচালক এতো বিলাশি জীবন যাপন ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠার পরও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ? এমন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বরিশালের বগুড়া রোডে তিনি ১২ শতাংশ জমি কিনে একটি ৫তলা বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করেছেন।পাশাপাশি আরো একটি ৮তলা বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণাধীন।নিজের ও তার স্ত্রীর নামে বাড়ি দুটি নির্মাণে ১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।এনিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।এই রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে।তার দুটি বিশাল বাড়ি নির্মাণের ঘটনায়।
১৭ কোটি মূল্যের দুটি বাড়ির মালিক হলেন,তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে বরিশাল ও পূর্বের কর্মস্থল সিরাজগঞ্জে । অভিযোগ রয়েছে,এদুটি বাড়ি ছাড়াও রাজধানী ঢাকায়,তার গ্রামের বাড়িসহ বিভিন্নস্থানেও জমিজমা ও সম্পদ রয়েছে তার।অন্যদিকে জানাযায়,বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের(শেবাচিম)ভবনের সংস্কার কাজ চলছে তার সাথে সাথে(শেবাচিম)পরিচালক ডা.মো.বাকির এর ৮তলা ভবনের নির্মানার্ধীন কাজ চলছে।(শেবাচিম)ভবনের সংস্কার কাজ এর অবৈধ টাকা দিয়ে তার নিজ ভবন নিমার্ন চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়,যে এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করছেন,সেখানকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,৮ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে করা বাড়িটির নির্মাণকাজ শেষ করতে আরো কয়েক কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে।ডা.মো.বাকির হোসেনের এত সম্পদের পেছনে বড় ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার আশঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বরিশাল ও সিরাগঞ্জের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।তারা বলেন,যেহেতু তিনি সরকারি চাকুরিজীবি,সেহেতু তার সম্পদের বিষয়ে তদন্ত ভালোভাবে করতে হবে।মন্ত্রণালয়কেই এ বিষয়ে কাজ করতে হবে।তা ছাড়া একজন দুর্নীতিবাজ কখনই এককভাবে দূর্নীতি করতে পারে না।তার সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত থাকতে পারে।এসব তদন্ত করে দুর্নীতিবাজদের সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে।পাশাপাশি তাকে নজরদারির আওতায় আনতে দুর্নীতি দমন কমিশনেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।এব্যাপারে ডা.মো.বাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,বেতনের টাকা দিয়েই বাড়ি নির্মাণ কাজ করেছি।অবৈধ কিছু করিনি।সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগে পতিতারা কাজ করে যাদের মাধ্যমে দুর্নীতির খবর পেয়ে থাকেন।উপারের নিষেদ আছে সকল বিষয়ে কথা বলা যাবেনা।