অসত্য তথ্য প্রদানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। - Alokitobarta
আজ : বুধবার, ১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অসত্য তথ্য প্রদানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আলোকিত বার্তা:শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন,অসত্য তথ্য দিয়ে এমপিওভুক্ত হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত আদেশ কার্যকর হবে না।বরং অসত্য তথ্য প্রদানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।পাশাপাশি বিভ্রান্তির কারণে এমপিও পাওয়া প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জারি করা আদেশও কার্যকর হবে না।রাজধানীর বাংলাদেশ শিক্ষা, তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোতে (ব্যানবেইস) আয়োজিত এক সম্মেলনে রোববার তিনি এ কথা বলেন।এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন,শতভাগ নিয়মকানুন অনুযায়ী যোগ্য প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্ভাব্য সব কার্যক্রম গ্রহণ করে। সাড়ে ৯ বছর পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৯ হাজার ৬১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে ২ হাজার ৭৩০টিকে এমপিওভুক্ত করেছে। ২৩ অক্টোবর এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন,গত বছরের আগস্টে স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে অনলাইনে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে আবেদন নেয়া হয়।বুয়েটের তৈরি একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো বেছে নেয়া হয়। নীতিমালা অনুযায়ী চার শর্ত পূরণ করা প্রতিষ্ঠান উপজেলায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তি সাপেক্ষে এমপিও পেয়েছে। শর্তগুলো হচ্ছে- প্রতিষ্ঠানের বয়স বা স্বীকৃতির মেয়াদ, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পাসের হার।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন,এসব শর্তের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের দেয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাসের হারের তথ্য শিক্ষা বোর্ড থেকে যাচাই করা হয়। স্বীকৃতি সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতে গিয়ে বেশকিছু ভুল তথ্য পাওয়া যায়, যা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দেয়া হয়েছিল।তিনি বলেন,এমপিওভুক্তির বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় অসত্য তথ্যের মাধ্যমে বা অন্য কোনোভাবে ভুলের কারণে যাতে কোনো অযোগ্য প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে না পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এমপিওর আদেশে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়া তথ্য যাচাই সাপেক্ষে এমপিও কার্যকর করা হবে। দেয়া তথ্য অসত্য প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধী বা কুখ্যাত ব্যক্তিদের নামে প্রতিষ্ঠিত চিহ্নিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিবর্তন করে চলছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। স্থানীয় পর্যায়ে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকলেও এ সংক্রান্ত সব তথ্য মন্ত্রণালয়ে নেই। বিষয়টি স্থানীয় পর্যায় থেকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, স্থানীয় প্রশাসন, জনগণ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরে আনলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এবারের এমপিওভুক্তির ব্যাপারে কোনোরকম রাজনৈতিক বিবেচনা করা হয়নি, শুধু যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।দীপু মনি বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য স্বীকৃতি একটি অন্যতম শর্ত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজস্ব ভবন না থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষাক্রম নিজস্ব ভবনে পরিচালনা করা হবে বলে শর্ত আরোপ করা হয়। কেউ যদি এ শর্ত পালন না করে এবং এ আদেশে এমপিওভুক্ত হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে যাচাই করে উলি­খিত শর্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।তিনি বলেন, এমপিওভুক্তির আবেদনের পর যে প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হয়েছে, সেখানে এমপিওভুক্তির আদেশ কার্যকর হবে না। নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় আবারও নিম্ন মাধ্যমিক হিসেবে এমপিওভুক্তি হয়েছে কিনা, তা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমপিওভুক্তির আদেশ জারির পর একটি প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ হচ্ছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। এমপিওভুক্তির শর্তানুযায়ী এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Top