অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কারা অধিদপ্তরের ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদ আটক
আলোকিত বার্তা:অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কারা অধিদপ্তরের ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।রোববার সকাল ১০টায় তাকে ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল দুদক।জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন,অবৈধ সম্পদ অর্জনের কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
দুদক সূত্র জানায়, বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।দুদকের কাছে অভিযোগ ছিল,ঘুষের কোটি কোটি টাকা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসতো রশীদের কাছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাঠানো এসব টাকা তুলেছেন তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহার।জিজ্ঞাসাবাদে বজলুর সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়,ময়মনসিংহ কারাগারের একজন কর্মকর্তার স্ত্রীর কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেন রাজ্জাকুন নাহার।ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের সমমর্যাদার আরেক কর্মকর্তার স্ত্রীর কাছ থেকে দুই দফায় নিয়েছেন ৬ লাখ টাকা। এছাড়া ঢাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা একজন কারারক্ষীর কাছ থেকে নিয়োগ-বাণিজ্যের ৫৮ লাখ টাকা নিয়েছেন বজলুর রশীদ নিজেই। আরেক কারারক্ষীর কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ৩৮ লাখ টাকা।
অভিযোগ রয়েছে,কারা সদর দপ্তরে ডিআইজি পদে থাকায় বজলুর রশীদ সারাদেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে চাঁদার নামে নির্ধারিত রেটে ঘুষ নিয়ে থাকেন। এই টাকা যেত কুমিল্লার তৌহিদ নামের এক ব্যক্তির কাছে। তিনি তা পাঠাতেন বজলুর রশীদের স্ত্রী রেবার কাছে। তাদের যোগাযোগ হতো ভুয়া ঠিকানায় নেয়া রেবার মোবাইল ফোনে। কুমিল্লা থেকে তৌহিদ হোসেন মিঠুর পাঠানো টাকা এসএ পরিবহনের কাকরাইলের প্রধান অফিস থেকে শুধু মোবাইলে মালিকানা নিশ্চিত করে তুলে নেয়া হয়।অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে একটি জাতীয় দৈনিক তার দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।সেই প্রতিবেদনে উঠে আসা ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বজলুর রশীদ বলেছিলেন,আমি দুটি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করেছি। যারা এই দুই দুর্নীতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারাই এই নিউজ করিয়েছে। সবকিছু বানোয়াট।