এখনো প্রশাসনের ৯০ ভাগ আমলা ফ্যাসিবাদের দোসর - Alokitobarta
আজ : বুধবার, ১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এখনো প্রশাসনের ৯০ ভাগ আমলা ফ্যাসিবাদের দোসর


মোহাম্মাদ মুরাদ হোসেন: বাংলাদেশ অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অনেকে বলছে, আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন। সংস্কার তো একটা চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার হতে যদি ৫ বছর, ১০ বছর লাগে; তাহলে নির্বাচন ১০ বছরেও হবে না? দীর্ঘকাল ধরে কি ফ্যাসিবাদী আমলাদের হাতেই দেশ চলবে? এখনো প্রশাসনের ৯০ ভাগ আমলা ফ্যাসিবাদের দোসর। অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন থাকলে তারা বিভিন্নভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। বৃহস্পতিবার বিকালে সুপ্রিমকোর্ট বার অডিটোরিয়ামে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য চাই। আমরাই তাদের বসিয়েছি। কিন্তু এমন কোনো কাজ করবেন না, যা জাতির বিরুদ্ধে যাবে, বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে যাবে। করিডর দেবেন, তা নিয়ে মানুষের সঙ্গে আলাপই করছেন না, কথা বলছেন না। মানবিক করিডরের নামে কোনো কিছু জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, যদি প্রয়োজন হয় একশবার দেবেন। মানবতাকে যদি সাহায্য করতে হয়, সাহায্য করব। কিন্তু দেশের জনগণকে নিয়েই সেটা করবেন। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে করবেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্ন করতে চাই, আপনারা অনেক পরিবর্তন আনছেন-বলছেন যে, ফুট স্টেপ রেখে যাবেন। কী কী পরিবর্তন হয়েছে? পত্রিকায় দেখলাম, আমাদের পোশাকশিল্পগুলো অনেক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমেরিকা যে ট্যারিফ পলিসি দিয়েছে তাতে নতুন করে বিনিয়োগ আসছে না। নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করছে না। মূল্যস্ফীতি কমেনি, ব্যাংকের অবস্থা ভালো হয়নি। শিক্ষার সবচেয়ে করুণ অবস্থা। স্বাস্থ্য খাত ও হাসপাতালগুলোর করুণ পরিস্থিতি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অনেকে ভাবছে আমরা স্বস্তির মধ্যে আছি। কিন্তু রাজনীতিক হিসাবে আমরা সবচেয়ে ভঙ্গুর অবস্থায় আছি। আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে লড়ছি। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র ফিরে পাওয়া। তা আমরা এখনো ফিরে পাইনি। প্রতিদিন নতুন শর্ত যুক্ত হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যম জটিলতা বাড়াচ্ছে। আমরা সংস্কারবিরোধী নই, ২০২২-এ সংস্কারের রূপরেখা আমরাই দিয়েছি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের কথাকে ভুল ব্যাখ্যা করে বিচার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা এটা জানি কেন করা হচ্ছে? মঙ্গলবার সেটা প্রমাণিত হয়েছে, খালেদা জিয়া এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, প্রমাণিত হয়েছে যে, বিএনপি হচ্ছে সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। প্রমাণিত হয়েছে বিএনপির হাতেই এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে এদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র একমাত্র নিরাপদ। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ ৬০ লাখ মিথ্যা মামলা দিয়েছে, ১৭শ গুম, ২০ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে বিনা বিচারে হত্যা করেছে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুর রেজ্জাক খান, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, প্রয়াত এজে মোহাম্মদ আলীর সহধর্মিণী ফারজানা আলী প্রমুখ।

Top