এ ধরণের ও চরিত্রের ট্রানজিট প্রদান আমাদেরকে ভাবিয়ে তোলে
মোহাম্মাদ আরিফ হোসেন : কারণ সারাবিশ্বেই উইন-উইন সিচুয়েশনে এটা হচ্ছে। কিন্তু এই সরকার ভারতকে রেল করিডোর দিয়েছে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার পেছনে ভারতের অবদানের প্রতিদান হিসেবে। সেজন্য করিডোর দেওয়ার বিনিময়ে তিনি কোনো কিছু আদায় করতে পারেননি। বরং বলতে গেলে বিনা শর্তে এমনকি প্রায় বিনা মাসুলে ট্রানজিট দেন।ভারতের স্বার্থে সব চুক্তি হয়েছে তাতে দেশের স্বার্থ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই। তিনি বলেন, বর্তমানে ট্রানজিট আদতে কোনো রাজনৈতিক ইস্যুই হওয়ার কথা না। এ ধরণের ও চরিত্রের ট্রানজিট প্রদান আমাদেরকে ভাবিয়ে তোলে। নিজেদের সার্বভৌমত্বের ওপরে থাকা অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, বর্তমান সরকারের সৃষ্ট নানাবিধ সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ ভারত সফর সংকটকে আরও ঘণীভূত করেছে। যে চুক্তিগুলো করা হয়েছে, তাতে কোনো আওয়ামী লীগারও বাংলাদেশের স্বার্থ দেখাতে পারছে না।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সংকটের মূলে ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত ডামি সরকার এবং সরকারকে সহযোগিতাকারী ভারত। সকল দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুললে সরকার টিকে থাকতে পারবে না। তিনি বলেন, এত দল, এত জনগণ থাকা সত্বেও আন্দোলন সফল হচ্ছে না। দেশবিরোধী সমঝোতা স্মারক চুক্তি বাংলাদেশের জনগণের কোন কল্যাণ নেই। স্ব-ঘোষিত প্রধানমন্ত্রী নিজেদের কল্যাণের জন্য সব করছে। তিনি বলেন, নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ ভুলে দেশ, ইসলাম ও মানবতার কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হলে এ আন্দোলনকে রুখে দেয়ার সাধ্য কারো নেই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা ও মহানগর শাখা আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর টাউন ল চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মালানা সিরাজুল ইসলাম। বরিশাল মহানগর সভাপতি অধ্যাপক লোকমান হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা সৈয়দ নাছির আহমদ কাওছার সহ জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, বরিশালের অবৈধ মেয়র গায়ের জোরে কথা বলেন। আমি বলে দিতে চাই, মানুষের রক্ত নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। রক্ত আরো রক্ত, জীবন আরো জীবন, জালিম আরো জালিম চায়। তিনি কোটা বিরোধী আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকা করে বলেন, বাংলাদেশে কোটাপ্রথা চলবে না। যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকুরী হতে হবে। কোটার নামে মেধাহীনদের প্রশাসনে নিয়োগ দিয়ে দেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে সরকার। আর ্েই কোটাধারীরাই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করে দেশকে দুর্নিিতগ্রস্ত দেশে পরিণত করেছে।ফয়জুল করীম আরও বলেন, বিদ্যুৎখাতের পরিকল্পনাহীনতা, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও খামখেয়ালিপনা সর্বশেষ দেখা গেলো নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনার চুক্তি থেকে। ভারতের গ্রিড ব্যবহার, ভারতকে দুই ধরণের মাসুল দিয়ে আনা এই বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ খাতকে অনিরাপদ ও ভারতনির্ভর করবে। কম দামের যুক্তি দিয়ে বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে, অথচ সবার আপত্তি উপেক্ষা করে দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিলো। কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নামে যে যুক্তিতে, যেভাবে ও যে পরিমাণ ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হয় তাকে মগের মুল্লুকি ছাড়া আর কিছু বলার নাই।