নবনির্বাচিত এমপিদের আজ মন্ত্রিসভার শপথ কাল - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নবনির্বাচিত এমপিদের আজ মন্ত্রিসভার শপথ কাল


মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া :নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেবেন বৃহস্পতিবার। বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার নবনির্বাচিত সংসদ-সদস্যরা শপথ নেবেন। পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বঙ্গভবনে হবে এ শপথ অনুষ্ঠান। নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন, আকার কেমন হচ্ছে-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাননি। শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে ৪০টি নতুন গাড়ি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের কাছে ৪০টি গাড়ি ও ড্রাইভার চাওয়া হয়েছে। ৪০টি পতাকাও সরবরাহের জন্য কার্যাদেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এছাড়া গাড়িচালকদের নাম ও নম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, নতুন মন্ত্রিসভায় ৪০ জনের বেশি সদস্য থাকতে পারেন।মন্ত্রিসভার শপথের আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী সংসদ-সদস্যরা বুধবার শপথ নেবেন। সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের শপথকক্ষে নবনির্বাচিত সংসদ-সদস্যদের শপথ পড়াবেন একাদশ সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সাধারণত বেশি আসন পাওয়া দলের সংসদ-সদস্যরা প্রথমে এবং এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যরা সংসদ-সদস্য হিসাবে শপথ নিয়ে থাকেন। এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। প্রথমে আওয়ামী লীগ, এরপর জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি এবং কল্যাণ পার্টির নবনির্বাচিত সংসদ-সদস্যরা শপথ নেবেন। সবশেষে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিতরা শপথ নেবেন। একইদিন দুপুর ১২টায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের নেতা ও দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।

বিএনপিসহ তাদের বলয়ে থাকা বিরোধী দলগুলোর বর্জনের মধ্যে ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯ আসনে এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২২২টি আসনে জয়ী হয়। দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি জয়ী হয় ১১টি আসনে। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২ আসনে জয় লাভ করেন। আওয়ামী লীগের শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ একটি করে দুটি আসনে জয়ী হয়েছে। আর বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি জয় পেয়েছে একটি আসনে।এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিতদের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করে। নিয়ম অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের পর শপথের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তা স্পিকারের কাছে পাঠায় ইসি। সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩ দিনের মধ্যে শপথের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হবে। তবে ভোটের কতদিন পর গেজেট হবে, সে বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে অবহিত না করলে বা শপথ না নিলে সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে। যে কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শপথ না নেওয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বগুড়া-৬ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের পর ৩ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ হয়। এরপর নির্বাচিত সংসদ-সদস্যদের শপথ পড়ানো হয়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ করা হয়। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর। সরকার গঠিত হয় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। সরকার গঠন করা হয় ১২ জানুয়ারি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। এর ৮ দিন পর সরকার গঠন করা হয় ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি।এবারের নির্বাচনে ২৬টি আসনে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ছাড় পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। এই আসনগুলোর মধ্যে তারা ১১টিতে জয়ী হয়। অথচ একাদশ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির আসন সংখ্যা (সংরক্ষিত নারী আসন বাদে) ছিল ২৩টি। বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার জয়ী হয়েছেন। এছাড়াও প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (ফেনী-৩), হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (ঠাকুরগাঁও-৩), গোলাম কিবরিয়া (বরিশাল-৩), একেএম সেলিম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৫), মো. আশরাফুজ্জামান (সাতক্ষীরা-২), একেএম মোস্তাফিজুর রহমান (কুড়িগ্রাম-১) ও শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ (বগুড়া-২) নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটের পরের দিন দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় জিএম কাদের বলেন, নির্বাচন সঠিক হয়নি। এটি সরকারের ইচ্ছানুযায়ী একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন ছিল। তারা যাকে চেয়েছে তাকে জয়ী করিয়েছে। এ সরকারকে কেউ বিশ্বাস করবে না, সরকারের গ্রহণযোগ্যতা যেটুকু ছিল, সেটাও থাকবে না।

নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩ দিনের মধ্যে শপথের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘সংবিধানের ২(ক) ১২৩ অনুচ্ছেদের (৩) দফার অধীন অনুষ্ঠিত সংসদ-সদস্যদের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ দিনের মধ্যে এই সংবিধানের অধীন এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা তদুদ্দেশ্যে অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো ব্যক্তি যে কোনো কারণে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পাঠ পরিচালনা করিতে ব্যর্থ হইলে বা না করিলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার উহার পরবর্তী ৩ দিনের মধ্যে উক্ত শপথ পাঠ পরিচালনা করিবেন, যেন এই সংবিধানের অধীন তিনিই ইহার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি।’

শপথের বিষয়ে সংবিধানের ১৪৮ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘(১) তৃতীয় তফশিলে উল্লিখিত যে কোনো পদে নির্বাচিত বা নিযুক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণের পূর্বে উক্ত তফশিল অনুযায়ী শপথগ্রহণ বা ঘোষণা (এই অনুচ্ছেদে ‘শপথ’ বলিয়া অভিহিত) করিবেন এবং অনুরূপ শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিবেন। (২) এই সংবিধানের অধীন নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির নিকট শপথগ্রহণ আবশ্যক হইলে অনুরূপ ব্যক্তি যেরূপ ব্যক্তি ও স্থান নির্ধারণ করিবেন, সেইরূপ ব্যক্তির নিকট সেইরূপ স্থানে শপথগ্রহণ করা যাইবে। (৩) এই সংবিধানের অধীন যে ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের পূর্বে শপথগ্রহণ আবশ্যক, সেই ক্ষেত্রে শপথ গ্রহণের অব্যবহিত পর তিনি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।

সদস্যদের আসন শূন্য হওয়ার বিষয়ে সংবিধানের ৬৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো সংসদ-সদস্যের আসন শূন্য হইবে, যদি (ক) তাহার নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে নব্বই দিনের মধ্যে তিনি তৃতীয় তফশিলে নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিতে ও শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিতে অসমর্থ হন : তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ মেয়াদ অতিবাহিত হইবার পূর্বে স্পিকার যথার্থ কারণে তাহা বর্ধিত করিতে পারিবেন; (খ) সংসদের অনুমতি না লইয়া তিনি একাধিক্রমে নব্বই বৈঠক-দিবস অনুপস্থিত থাকেন; (গ) সংসদ ভাঙিয়া যায়; (ঘ) তিনি এই সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফার অধীন অযোগ্য হইয়া যান; অথবা (ঙ) এই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।

এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের কাছে ৪০টি গাড়ি ও ড্রাইভার চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র যুগান্তরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। মাহবুব হোসেন বলেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবে শপথ অনুষ্ঠানটা বঙ্গভবনে হয়ে থাকে। এ বছরও বঙ্গভবনেই হবে। প্রস্তুতির মধ্যে কি কি বিষয় আছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, যেখানে শপথ হয়, সেখানকার একটা প্রস্তুতি রয়েছে। ইনভাইটেশনের একটি তালিকা করতে হয়, সেই তালিকা করছি। ইনভাইটেশন কার্ড করতে হয়, সেটি আমরা করছি। বঙ্গভবনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এটার জন্য কিছু কাগজপত্র তৈরি করতে হয়, সেটা করছি। নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের জন্য ১৩০০ থেকে ১৪০০ জনকে দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারবৃন্দ, সরকারের সচিব, তিন বাহিনী প্রধান, রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, বিদেশি মিশন প্রধান, বিশিষ্ট নাগরিক, সিনিয়র সাংবাদিকসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অতিথির জন্য আতন্ত্রণপত্র তৈরি ও বিতরণ শুরু করেছে।মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে যারা শপথ নেবেন তাদের তালিকা আপনাদের কাছে এসেছে কিনা? যারা শপথ নেবেন তাদের আপনারা ফোন দিচ্ছেন কিনা? নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের বায়োডাটা আপনাদের কাছে এসেছে কিনা? নতুন মন্ত্রিসভা কত সদস্য বিশিষ্ট হচ্ছে? এসব প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তুতির ওই অংশে আমরা এখনো কাজে যাইনি। যখন আমরা নির্দেশনা পাব, তখনই কাজ শুরু করব। আমি সেই নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে তারাই হবে দেশের নতুন সরকার। শপথ নেওয়া পর্যন্ত আগের মন্ত্রিসভা বহাল থাকবে। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে আগের মন্ত্রিসভা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধান হিসাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয়সংখ্যক মন্ত্রীদের নিয়ে সরকার গঠন করবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ৪০টি গাড়ি চাওয়ার মানে হচ্ছে নতুন ৪০ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী হচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে বর্তমান মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী ৪৫ জন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীসহ ২৪ জন পূর্ণ মন্ত্রী, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী। নতুন মন্ত্রিসভায় সদস্য আগের চেয়ে বাড়তেও পারে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, এ সংখ্যা ৪০ হতে পারে। মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা যাই হোক, সব ধরনের সাপোর্ট দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রস্তুত। অপর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয়সংখ্যক যানবাহন প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় সংসদ-সদস্যদের মধ্য থেকে যারা মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন তাদের বুধবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকেই জানিয়ে দেওয়া হবে। তারা ব্যক্তিগত গাড়িতে শপথ নিতে বঙ্গভবনে যাবেন এবং শপথ শেষে তারা পতাকাবাহী সরকারি গাড়িতে বাসায় ফিরবেন। তবে যাদের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার জন্য ফোন করা হবে, তাদের কারও ব্যক্তিগত গাড়ি না থাকলে এবং তিনি গাড়ি পাঠাতে অনুরোধ করলে তার জন্য গাড়ি পাঠানো হবে। সে ক্ষেত্রে তখন ওই গাড়িতে পতাকা থাকবে না।

Top