আমরা মানুষের শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানসহ সবকিছুর জন্য কাজ করে তাদের হৃদয় জয় করেই ভোট পাই
মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা মানুষের শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানসহ সবকিছুর জন্য কাজ করে তাদের হৃদয় জয় করেই ভোট পাই। আমাদের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরাই ভোট চুরি করে। তারা ভোট চুরি ছাড়া নির্বাচনে জিততে পারে না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সেটি প্রমাণিত হয়েছে। সোমবার বিকালে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনি জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বক্তব্যের শুরুতেই শেখ হাসিনা বলেন, নতুন বছরে পদার্পণ করলাম। সবাইকে খ্রিষ্টীয় নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।নির্বাচনি জনসভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা কলাবাগান মাঠে আসতে শুরু করেন। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আসনের প্রার্থীরা নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিলসহ সমাবেশে যোগ দেন। সবুজ, খয়েরি, সাদাসহ বিভিন্ন রঙের টি-শার্ট, টুপি পরে মিছিল নিয়ে আসেন তারা। এসব মিছিলে ছিল ব্যানার, পোস্টার এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা। কাঠ ও কাগজের বিভিন্ন ধরনের নৌকা মিছিলে দেখা গেছে। এ সময় বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। ঢোল, বাঁশিসহ নানা ধরনের বাদ্যের সঙ্গে নেতাকর্মীদের নাচতেও দেখা গেছে। বিকাল সোয়া ৩টায় নির্বাচনি জনসভায় পৌঁছান শেখ হাসিনা। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে তাকে স্বাগত জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে স্লোগানের জবাব দেন তিনি। পাশাপাশি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান পৃথকভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
জনসভা মঞ্চে ঢাকা মহানগরীর আসনগুলোর দলীয় প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা বক্তব্যের শেষদিকে রাজধানীর ১৫টি আসনের দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এ ১৫টি রত্ন আপনাদের হাতে তুলে দিলাম। যারা আপনাদের সেবক হিসাবে কাজ করবে, আপনাদের সেবা করবে। এ নৌকা হচ্ছে নুহ নবির নৌকা, এ নৌকা মহাপ্লাবনে মানবজাতিকে রক্ষা করেছিল। এই নৌকায় মানুষের উন্নতি হয়। এ নৌকা মানুষকে নিশ্চিত জীবন দেয়, শান্তি দেয় ও সমৃদ্ধি দেয়। এ নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা পেয়েছে। এ নৌকায় ভোট দেওয়ায় আপনারা আজকের বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছেন।
এর আগে বক্তৃতার শুরুতে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে ফিরে আমার আপনজনদের পাইনি। পেয়েছি হাজার হাজার মানুষ। সেদিন ঘোষণা দিয়েছিলাম, এ বাংলাদেশের মানুষই আমার পরিবার। তাদের মধ্যেই আমি খুঁজে পাব বাবা-মা, ভাইবোনের স্নেহ। হ্যাঁ, এটা পেয়েছি। একটা প্রত্যয় ছিল, সবার মুখে খাদ্য তুলে দেব। কেউ গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। সবাইকে উন্নত জীবন দেব। ক্ষমতায় এসে সেই কাজ শুরুও করেছিলাম। কিন্তু গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিইনি বলে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি।তিনি বলেন, তবে দুর্নীতির কারণে ২০০৮ সালে জনগণ তাদের (বিএনপি) প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা সরকার গঠন করেছি। ২০১৩-১৪ সালে আগুনে মানুষ পুড়িয়েছে; কিন্তু নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ২০১৮ সালে নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। লন্ডন থেকে তারেক জিয়া দেয় নমিনেশন, গুলশান থেকে ফখরুল দেয় নমিনেশন, পল্টন অফিস থেকে রিজভী দেয় নমিনেশন। সকালে বলে এ আমাদের প্রার্থী, কিছুক্ষণ পরে এ নয়, অন্যজন প্রার্থী। তারেক জিয়ার তো কথাই ছিল কত টাকা দেবেন-নমিনেশন নেবেন? যে টাকা দেবে না, তার নমিনেশন বাদ। ওইভাবে নমিনেশন বিক্রির ফলে তাদের নির্বাচন ভেস্তে যায়। দোষ দেয় আমাদের ওপর।
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। কেন নির্বাচন বানচাল করবে? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আজ উন্নয়ন হয়েছে। ১৯৭৫-এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা এসেছিল অস্ত্র হাতে নিয়ে এবং সংবিধান লঙ্ঘন করে। তারা মানুষের ভাগ্য গড়েনি।তিনি বলেন, তাদের আমলে ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিষিদ্ধ, জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়। এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা বলতেও ভয় পেতেন। সেসময় অনেকে লুকাতেন, ভয় পেতেন। তারা (বিএনপি) ঠিক সেই অবস্থায় বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছিল। এছাড়া তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে দেয়।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ২০০১ সালের পর হানাদারদের মতো অত্যাচার করেছিল বিএনপি। তাদের দুঃশাসনেই দেশে ইমার্জেন্সি এসেছিল। তারা শুধু জানে মানুষের ওপর অত্যাচার করতে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুনেছি সে নাকি ক্যাসিনো থেকে টাকা ইনকাম করে। জুয়া খেলে টাকা ইনকাম করে, সেই টাকা দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।ভোট চুরি করতে পারবে না জেনেই বিএনপি নির্বাচনে আসেনি মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন মানুষের অধিকার, এটা বন্ধ করার সাহস তাদের নেই। এদের বিষয়ে মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, ওরা দেশটার সর্বনাশ করে দেবে। আমরাই ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করেছি। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা মানুষের ভোটাধিকার অর্জন করেছি। সেই অধিকার কেড়ে নেবে, নির্বাচন বন্ধ করবে-এত সাহস তাদের নেই। তারা পারবে না।নতুন ভোটারদের নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। তরুণ সমাজ ও তারুণ্যই হচ্ছে আমাদের অগ্রদূত। যারা প্রথম ভোটার হয়েছে, তাদের আহ্বান জানাব নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে।
ভোটারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাস করে আপনাদের ভোট কেড়ে নিতে চায়। আপনারা এর জবাব দেবেন। প্রত্যেক ভোটার সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে যাবেন, আপনার ভোট আপনি দেবেন। এই ভোট কেউ যেন ঠেকাতে না পারে। তাদের উপযুক্ত জবাব দেবেন। আপনারা অগ্নিসন্ত্রাসের জবাব দেবেন।আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আগামী দিনেও নৌকায় ভোট দেবেন। ’৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আজকের এই নির্বাচন। এ নির্বাচনে ভোট দিয়ে নৌকাকে জয়যুক্ত করবেন। শুধু ভোট দেবেন না, আপনার ভোট রক্ষাও করবেন। আর ওই অগ্নিসন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী বিএনপিকে উপযুক্ত জবাব দেবেন।
ঢাকা শহরের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত কর্মসূচির চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের পানি সমস্যা দূর করেছি। বিদ্যুতের সমস্যা দূর করেছি। সারা বাংলাদেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। ঢাকার যানজট দূর করতে মেট্রোরেল চালু হয়েছে। কোথাও যাতে যানজট না থাকে, সেজন্য আমরা ঢাকায় ৬টি মেট্রোরেল করে দেব। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আমরা করে দিয়েছি। নতুন নতুন ফ্লাইওভার করে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছি। আমাদের লক্ষ্য ঢাকা ঘিরে থাকা নদীগুলোকে পুনঃখনন করে দূষণমুক্ত ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা। শিগগিরই এর কাজ শুরু হবে। উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম চিন্তা করে হাসপাতাল করে দিয়েছি। ঢাকা মেডিকেলে চার হাজার মানুষ যেন চিকিৎসা পায়, সেজন্য নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর ডিজাইন করা হয়েছে। আগামী দিনে ক্ষমতায় আসতে পারলে নির্মাণকাজ শুরু করব। ঢাকা ঘিরে ওয়াটার ওয়ে করার ব্যবস্থা করা হবে। আমরা বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছি। ঢাকা শহরের সব তার পর্যায়ক্রমে মাটির নিচ দিয়ে নিয়ে যাব।তিনি বলেন, বঙ্গবাজারে যত মার্কেট আছে, বহুতল ভবন করে আধুনিক মার্কেট নির্মাণ করে দেব। সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের বরাদ্দ দেওয়া হবে। বস্তিবাসীদের ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দেওয়া হবে। জেলা পর্যায় পর্যন্ত হরিজন-দলিত শ্রেণিদের ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
সুশীল সমাজের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবী আছেন। নানা কথা বলেন। মানুষকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেন। তাদের কাজই হচ্ছে বিভ্রান্ত করা। গণতন্ত্র থাকলে তাদের নাকি মূল্য থাকে না। আর যদি কোনো অস্বাভাবিক সরকার হয়, তাদের মূল্য নাকি বেড়ে যায়। কার কত মূল্য এখন দাঁড়িপাল্লায় মেপে তাদের দেখতে হবে। কার কত মূল্য, সেটা আমরা দেখতে চাই। ক্ষমতায় থাকতে দেশের মানুষের তো ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি।জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। এতে আরও বক্তৃতা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনে দলীয় প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-১০ আসনের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। জনসভাকে কেন্দ্র করে কলাবাগান মাঠসহ আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। এ সময় আশপাশের এলাকায় ছিল তীব্র যানজট।
সন্তান হয়ে আপনাদের আগলে রাখব : নির্বাচনি জনসভায় ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, একসময় বাবা-মা সন্তানকে আগলে রাখেন। আবার সন্তান বড় হলে বাবা-মাকে দেখে রাখেন, আগলে রাখেন। আমিও আপনাদের (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা) সন্তানের মতো, আমি আপনাদের আগলে রাখব; এই এলাকায় আপনাদের দেখেশুনে রাখব।
ফেরদৌস বলেন, আজ আমাদের মাঝে দখিনের বাতাস হয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আমাকে এ মর্যাদাপূর্ণ ঢাকা-১০ আসনে মনোনীত করেছেন। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও এই ঢাকা আসনের মানসম্মান ধরে রাখব।তিনি বলেন, আমাকে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের একটি সাজানো বাগান দিয়েছেন। এই বাগানের মালী হিসাবে এটি পরিচর্যা করলেই হবে। ইনশাআল্লাহ ৭ জানুয়ারি সবচেয়ে বেশি ভোট নিয়ে আসনটি আপনাকে উপহার দিতে চাই।তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে খেলা হবে-ওবায়দুল কাদের : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে খেলা হবে। তারেক বাংলাদেশের কলঙ্কিত সন্তান। এই তারেকের বিরুদ্ধে একসঙ্গে খেলা হবে। এ সময় জনসভার প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, খেলা হবে, হবে খেলা, বিএনপি কোথায়? মাঠে আছে? কোথায় গেছে? পালিয়ে গেছে? খেলা থেকে বাদ, ফাউল করে লাল কার্ড খেয়েছে। লাল কার্ড খেয়ে ২৮ তারিখেই বাদ। ফাইনাল খেলা ৭ জানুয়ারি। খেলা হবে সাত তারিখে।তিনি বলেন, এদের লাল কার্ড দেখিয়ে বের করে দিতে হবে। বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী, লুটতরাজ, দুর্নীতিবাজ ষড়যন্ত্রকারী। তাদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না। যারা আমার প্রিয় জন্মভূমিকে পাকিস্তান বানাতে চায়, আফগানিস্তান বানাতে চায়, তাদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না। খেলা হবে। জোরদার খেলা হবে। আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে। লুটপাটের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে খেলা হবে, অবরোধের বিরুদ্ধে খেলা হবে।