বিআরটিসির অগ্রযাত্রাবিরোধী সুনাম ক্ষুণ্ন কারির বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলার প্রস্তুতি
মোহাম্মদ আবুবকর সিদ্দীক ভূইঁয়া :বিআরটিসির বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী । বতর্মান সরকারের আমলাদের মধ্যে যারা সততার সাথে তার দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে দেশ ও জাতি কল্যাণে কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে ফেক আইডি খুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে আসছে একটি চক্র। বতর্মান বিআরটিসির অগ্রযাত্রাবিরোধী সুনাম ক্ষুণ্ন কারির বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। । বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড কে বাধাগ্রস্ত করাই যেন তাদের পেশা এবং নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনকে (বিআরটিসি) লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির বর্তমান চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) তাজুল ইসলাম। তিনি চেয়ারম্যান পদে যোগদানের পর থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম, সততা, সাহসী ভূমিকা ও আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিআরটিসিকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।এমতাবস্থায় কর্পোরেশনের চলমান উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্থ করার পাশাপাশি চেয়ারম্যানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বিআরটিসির ১৪ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল ও জালিয়াতি করে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন একটি অভিযোগ দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেছে।এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিআরটিসির ডিজিএম (এস্টেট) মো. গোলাম ফারুক রাজধানীর পল্টন থানায় অজ্ঞাতনামা বেশ কিছু ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ১৩, যার ধারা-৪২০/৪৬৮/৪৭১/১০৯ পেনাল কোড।অপরদিকে সার্বিক নিরাপত্তা এবং বর্ণিত মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ের সভা কক্ষে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামের (অতিরিক্ত সচিব) সভাপতিত্বে নিরাপত্তা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মতিঝিল জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান, পল্টন ও মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জসহ বিআরটিসির সকল পরিচালক, জিএম, ডিজিএম, ঢাকাস্থ ম্যানেজারসহ ঢাকার বাইরের ম্যানেজরগণও অংশ নেয়।সভায় উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, বিআরটিসির উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বিভিন্ন মহল কর্তৃক প্রশংসিত হচ্ছে। বিআরটিসি একটি কেপিআই ভূক্ত এলাকা তাই বিআরটিসির ক্ষেত্রে পুলিশ সর্বোচ্চ সহযোগীতা প্রদান করবে। দায়েরকৃত মামলাটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী বা বাইরের যাদেরকে জড়িত পাওয়া যাবে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।ষড়যন্ত্রকারীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
বিআরটিসির এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে তিনি জানান,অনেকে আগের মত ভুয়া ভাউচার দিয়ে টাকা কামাই করতে পারছেনা বলে চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে লেগেছে তথ্য সন্ত্রাসিরা। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তি বর্গের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছরিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এদের মূল উদ্দেশ্যই হলো। উন্নয়নের অগ্রগতিকে থামিয়ে দিয়ে বাধাগ্রস্ত করা। অহেতুক সৎ কর্মকর্তাদের বিপদে ফেলা।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, চলমান হরতাল অবরোধের মধ্যেও প্রথম কর্ম দিবসে বেতন প্রদান করা হয়েছে। দেশে যান চলালাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য হরতাল অবরোধের মধ্যেও যাত্রীসেবা অব্যাহত রয়েছে। বিআরটিসির উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে স্বার্থান্বেসী মহল তৎপর রয়েছে। এসব অপকর্ম রুখতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।