জামায়াতের মন্টুসহ নওগাঁর ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াতের মন্টুসহ নওগাঁর ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড


মু এবি সিদ্দীক ভুঁইয়া :একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নওগাঁ জামায়াতের সাবেক নেতা রেজাউল করিম মন্টুসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মুক্তিযুদ্ধের সময় নওগাঁয় সাতজনকে হত্যার পাশাপাশি আরও অনেককে আটকে রেখে নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিত আসামিরা হলেন-রেজাউল করিম মন্টু, নজরুল ইসলাম ও শহিদ মণ্ডল। তাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম পলাতক; বাকি দুজন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও কেএম হাফিজুল আলম। ১৪৪ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপে আদালত বলেছেন, এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন মানবতাবিরোধী অপরাধের যে তিনটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছিল, তার সবই প্রমাণিত হয়েছে।আসামিদের মধ্যে রেজাউল করিম মন্টু ১৯৮৬ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী জয়পুরহাট জেলার আমির ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মন্টু তখন থেকেই ছিলেন জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয়। বাকি দুই আসামি জামায়াতের সমর্থক।

রায়ের সময় প্রসিকিউশনের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর হায়দার আলী, সুলতান মাহমুদ সীমন ও আবুল কালাম। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। তামিম পলাতক আসামি নজরুলের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী।রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রসিকিউটর হায়দার আলী বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।অন্য দিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইব্যুনালে রাজাকারের যে তালিকা দিয়েছে তা হলো শিবিরের তালিকা। অথচ ওই সময় শিবির ছিল না। আমরা এই রায়ে সংক্ষুব্ধ। আসামিদের সঙ্গে আলোচনা করব। আশা করি আপিল করলে আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে খালাস পাবেন।২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর এ মামলার তদন্ত শুরু করে তদন্ত সংস্থা। ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু করেন আদালত। একই বছরের ২৫ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, শেষ হয় ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। প্রসিকিউশনের ৩১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে। সেই যুক্তিতর্ক শেষে গত ২৬ মে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।

Top